Homeসব খবরক্রিকেটআলোচনায় কোহলির ফেক ফিল্ডিং, ৫ রান বঞ্চিত বাংলাদেশ

আলোচনায় কোহলির ফেক ফিল্ডিং, ৫ রান বঞ্চিত বাংলাদেশ

খেলা শেষে বাংলাদেশ দলের আক্ষেপ, প্রাপ্য ৫টি রান তারা পায়নি। ‘ফেক ফিল্ডিংয়ের’ অভিযোগ তোলা হলেও পেনাল্টি দেওয়া হয়নি ভারতীয় দলকে। এটি নিয়ে আইসিসিতে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জানাতে চাইছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তবে এখনকার নিয়ম অনুযায়ী সে অভিযোগ করার দুয়ার একরকম বন্ধ বলা চলে। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের পরাজয়ের ব্যবধান ৫ রানের।

বিসিবির মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান তানভীর আহমেদ টিটু বলেন, ‘আমরা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করছি নিজেদের মধ্যে। অভিযোগ করার সুযোগ আছে কিনা দেখছি। বর্তমান যে নিয়ম তাতে এই ব্যবস্থা এখন সম্ভবত নেই। তারপরও বিষয়টি আমরা দেখছি।’

বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ হওয়ার আগে বিরাট কোহলি ফেক থ্রো করেছিলেন। বল হাতে না নিয়েই থ্রো করার ভঙ্গি করেন। আম্পায়ার বিষয়টি খেয়াল না করায় পেনাল্টি হিসেবে বাড়তি ৫ রান পায়নি বাংলাদেশ। এটি নিয়ে ম্যাচ শেষে আক্ষেপ করেছেন নুরুল হাসান সোহান। মিক্সড জোনে দাঁড়িয়ে এ উইকেটরক্ষক-ব্যাটার বলেন, ‘মাঠ যে ভেজা, আপনারাও দেখছেন বাইরে থেকে, আমরাও দেখছি। ইভেনচুয়ালি আমার কাছে মনে হয় যে, যখন আমরা কথা বলি… একটা ফেক থ্রোও ছিল। যেটায় ৫ রান পেনাল্টি হয়তো হতে পারত। যেটা আমাদের দিকে আসতে পারত। দুর্ভাগ্যবশত সেটাও আসেনি।’

উইকেটে থাকা ব্যাটসম্যান নাজমুল হোসেন শান্ত তাৎক্ষনিক অভিযোগ করেন আম্পায়ারের কাছে। তবে আম্পায়ার সেটি আমলে নেননি। আম্পায়ার শান্তকে জানান, এরকম কিছু তাদের চোখে পড়েনি। ফেসবুকে ভাই’রাল হওয়ায় ভিডি’ও ক্লিপে দেখা গেছে ফেক থ্রো করা হয়েছে। খেলা শুরুর কয়েক মিনিট আগেও ড্রেসিংরুমের সামনে দাঁড়িয়ে আম্পায়ারদের বার বার ঘাস থেকে পানি তুলে দেখাচ্ছিলেন সাকিব আল হাসান। দেখে মনে হচ্ছিল খেলা শুরু হতে ঢের বাকি। তবে মাত্র ১৫ মিনিটের নোটিশে খেলা শুরু হয় অ্যাডিলেড ওভালে।

যদিও এটি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে আ’পত্তি তোলেননি সাকিব আল হাসান। বাংলাদেশ অধিনায়ককে এক ভারতীয় সাংবাদিক প্রশ্ন করেছিলেন যে আম্পায়ারদের মানাতে চেষ্টা করেছিলেন কিনা। সাকিব অবাকই হয়েছেন বলেছেন সেই ক্ষমতা কি আমাদের আছে। তাহলে কী কথা হচ্ছিল তাদের সঙ্গে? সাকিব বলেন, দুই দলের অধিনায়ককে ডেকে কখন খেলা কত ওভারে খেলা কার্টেল ওভার ম্যাচের সব বুঝিয়ে দিচ্ছিলেন। তবে সাকিব যে কিছু নিয়ে অভিযোগ করছিলেন সেটি ফুটে ওঠে তার শারিরীক ভাষায়। ধারাভাষ্যকার হার্শা ভোগলেও বলছিলেন, সাকিব খুশি নন।

Advertisement