Homeসব খবরক্রিকেটআর কত অজুহাত দেখাবেন মুমিনুলরা!

আর কত অজুহাত দেখাবেন মুমিনুলরা!

এতো বছর সাদা পোশাকের ক্রিকেটে বিচরণ করবার পর এ ধরণের অজুহাত কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় বলে মনে করেন মোহাম্মদ আশরাফুল এবং নাফিস ইকবাল। প্রথম ইনিংসে ব্যাটসম্যানদের দায়িত্বহীন শট নির্বাচনে উইকেট ছুঁড়ে আসাটাই ব্যাকফুটে ঠেলে দিয়েছিলো টাইগারদের, বলে মত তাদের।

দ্বিতীয় দিন পর্যন্ত যে উইকেটে ধুন্দুমার ব্যাট চালালো লঙ্কানরা। ২৪ ঘন্টা ঘুরতেই সে উইকেট যেন ব্যাটসম্যানদের বদ্ধভূমি। উইকেটের টার্ন আর বাউন্স রীতিমতো পরীক্ষা নিয়েছে বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের। আর বলাই বাহুল্য, সে পরীক্ষায় পাশ মার্কটাও জোটাতে পারেননি তামিম-মুমিনুলরা। বরং শিক্ষানবীশের মতো ছুড়ে এসেছেন নিজেদের উইকেট।

তবে, ম্যাচ হারের কারণ হিসেবে নিজেদের ভুলের চেয়েও টস হারাটাকেই সামনে এনেছেন অধিনায়ক। যা নিয়ে খুব অবশ্য বেশি দ্বিমত নেই নাফিস ইকবাল এবং আশরাফুলেরও। তবে, এতোদিন টেস্ট খেলবার পর এ ধরণের অজুহাত খুবই শিশুসুলভ বলে মনে করেন তারা।

সাবেক ক্রিকেটার নাফিস ইকবাল বলেন, টসটা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ ছিলো। কিন্তু, প্রথম ইনিংসে ব্যাটসম্যানরা যেভাবে আউট হয়েছে সবাই এর তো কোন অজুহাত থাকতে পারে না। পিচের কারণে তো উইকেট ছুড়ে আসাটা জাস্টিফাই করা যায় না। বোলিংয়েও প্রথম দিনে আমরা কোন উইকেট পাইনি। যত ভালো উইকেটই হোক, এটা তো ভালো ফল দিতে পারে না। আর শেষ ইনিংসে ব্যাটসম্যানরা যেভাবে খেলেছে, তাতে তাদের পরিকল্পনা কি ছিলো সেটা বেশ কনফিউজিং।

সাবেক অধিনায়ক আশরাফুলের চোখে হারের কারণ আছে আরো একটা। সে কথা শুনলে, নিজেদের ঘরোয়া আসরের দৈন্যতাই ফুটে উঠবে চরমভাবে। জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়ক বলেন, আমাদের ঘরোয়াতে আমরা এরকম গুড স্পিন উইকেট পাই না। যেটা শুরুতে ব্যাটসম্যানদের সাহায্য করবে, পরে বোলারদের। আমাদের ঘরোয়া স্পিনারদের কোয়ালিটিও অতো ভালো না। মিরাজ-তাইজুল অনেক অভিজ্ঞ কিন্তু তারা উইকেট কাজে লাগাতে পারেনি। ওদের অভিষিক্ত ক্রিকেটার দুর্দান্ত করেছে।

এদিকে, জাতীয় দলের ব্যর্থতার দায়ে বরখাস্ত হওয়া পথে কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ হেরেছে বাংলাদেশ। শুধু শ্রীলঙ্কা সিরিজে নয়, বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়ে তেমন পারফরম্যান্স দেখাতে পারেননি রাসেল ডমিঙ্গো।

তার আমলে এখনো পর্যন্ত সাফল্য হিসেবে ভারতের মাটিতে একটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে জয়লাভ করেছে বাংলাদেশ। কিন্তু এছাড়া আর কিছুই করে দেখাতে পারেননি তিনি। ঘরের মাঠে আফগানিস্তান এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ হেরেছে বাংলাদেশ।

এছাড়াও তার সময়ে ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ হেরেছে টাইগাররা। মোট নয়টি টেস্ট এর মধ্যে সাতটি টেস্ট ম্যাচ হেরেছে বাংলাদেশ। একটি ম্যাচে ড্র করেছে এবং বাকি টিতে জয়লাভ করেছে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। তবে ওয়ানডেতে তার ফলাফল কিছুটা হলেও ভালো।

৯ ম্যাচের মধ্যে ৬ ম্যাচে জয়লাভ করেছে বাংলাদেশ যা ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ে এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। বাকি তিনটি ওয়ানডে ম্যাচ নিউজিল্যান্ডের মাটিতে। টি-টোয়েন্টিতেও আহামরি কিছু করে দেখাতে পারেননি তিনি। ১৪ ম্যাচের মধ্যে মাত্র ৬ টি ম্যাচে জয়লাভ করেছে বাংলাদেশ। যার মধ্যে চারটি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একটি আফগানিস্তানের বিপক্ষে এবং একটি ভারতের বিপক্ষে।

Advertisement