এক দশকের বেশি সময় ধরে গ্র্যাজুয়েট হওয়ার স্বপ্ন ফিকে হয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু সাকিব ঠিকই আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (এআইইউবি) থেকে ব্যাচেলর অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (বিবিএ) ডিগ্রি সম্পন্ন করেছেন। এর পেছনে যে মায়ের উৎসাহ কাজ করেছে সেটিও জানাতে ভুল করলেন না। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ক্যারিয়ারের ব্যস্তসূচির পাশাপাশি পড়াশোনা চালানো দুরূহ কাজই বটে। তবে ব্যক্তিকে যখন সাকিব আল হাসান তখন ইচ্ছাশক্তির জয় হওয়াটা বিস্ময়ের নয়।
আজকে এআইইউবি’র ২১তম সমাবর্তনে অংশ নিয়ে তিনি বলেন, টেস্ট ক্যাপ পাওয়ার মতো অনুভূতি হচ্ছে। ২০০৯ সালের দিকেও আমার যখন জাতীয় দলে আমার ক্রিকেট খেলার ৩ বছর হয়ে গেছে তখনও আম্মা যখন ফোন করতো প্রথম কথাই জিজ্ঞেস করতো পড়াশোনার কী অবস্থা? আজকে আমি খুবই খুশি, আনন্দিত ও গর্বিত যে শেষ পর্যন্ত আমার এই স্বপ্ন পূরণ হলো। খেলার মাঠে হয়তো আমার বেশকিছু অর্জন আছে। কিন্তু এটা সবসময় আমার স্বপ্ন ছিল।
কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে সাকিব আল হাসান বলেন, আমার সকল কোর্স শিক্ষকদের আমি ধন্যবাদ জানাতে চাই। তাদের সমর্থন ছাড়া এটা সম্ভব হতো না। এআইইউবিকেও ধন্যবাদ জানাতে চাই, তারা যেভাবে সমর্থন করেছে। শুধু আমি না, আমাদের ক্রিকেট দলের অনেকেই এখানে পড়াশোনা করেছে। আমাকে ও তাদেরকে এআইইউবি যেভাবে সমর্থন করেছে তার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে সাকিব বলেন, আমি নিশ্চিত আপনাদের জীবন সামনের দিকে এগিয়ে যাবে। শুধু একটা কথা বলতে চাই, যখন আপনারা স্বপ্ন দেখবেন, স্বপ্নটা বড় দেখবেন। স্বপ্নকে লক্ষ্য করে সৎভাবে কাজ করবেন। আমি নিশ্চিত আপনাদের স্বপ্ন পূরণ হবে। আমরা সবাই মিলে বাংলাদেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবো।