Homeসব খবরবিনোদনআমার আর্জেন্টিনায় যাওয়ার খবরটি যদি মেসি জানত, শান্তি পেতাম...

আমার আর্জেন্টিনায় যাওয়ার খবরটি যদি মেসি জানত, শান্তি পেতাম : পরীমণি

গত রোববার হয়ে গেল ফুটবল বিশ্বকাপের ফাইনাল। বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে আর্জেন্টিনা। এমন আনন্দে আপ্লুত পরীমনি। রোববার গভীর রাতে পরী তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে লেখেন, ‘আমি কেমন বোকার মতো এখনো কানতেছি!’

পরীর স্বামী অভিনেতা শরিফুল রাজ। তিনি আবার ব্রাজিলের সমর্থক। কিছুদিন আগেই রাজ চট্টগ্রামে এক অনুষ্ঠানে অংশ নিতে গিয়ে সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, ব্রাজিল জিতলে পরীমনিকে ইউরোপ ট্যুরে নেবেন রাজ। আর আর্জেন্টিনা জিতলে দুজন মিলে আর্জেন্টিনা যাবেন। আর্জেন্টিনা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর রাজের কাছে ঘুরতে যাওয়ার বায়না করেছেন অভিনেত্রী। ওই স্ট্যাটাসেই পরী লেখেন, ‘রাজ তাড়াতাড়ি আমাকে নিয়ে আর্জেন্টিনা চলো।’

আর্জেন্টিনার সমর্থক অভিনেত্রী পরীমনি। ফুটবল বিশ্বকাপ শুরুর পর থেকেই নানা বাক্যে তিনি তার ভালোবাসার কথা জানিয়েছেন আর্জেন্টিনা ও মেসির প্রতি। আসলেই তারা ঘুরতে যাবেন, নাকি কাজে ব্যস্ত হয়ে যাবেন এমন প্রশ্ন অনেকের মনে। অবশেষে বিষয়টি নিয়ে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন পরীমণি।

তিনি বলেন, ‘আর্জেন্টিনা অবশ্যই যাব। শিগগিরই সেই প্রস্তুতি নেব আমরা। মেসির দেশে আমাকে যেতেই হবে। যদি মেসি জানত, বাংলাদেশের একটি মেয়ে বাজিতে জিতে আর্জেন্টিনায় এসেছে, কী যে শান্তি লাগত!’

মেসির পাঁড় সমর্থক ঢালিউডের এ নায়িকা। বিশ্বকাপের শুরু থেকেই মেসিকে নিয়ে তাঁর উন্মাদনার ছবি, ভিডিও তাঁর ফেসবুক পেজে প্রকাশ করে আসছিলেন পরীমনি। কিন্তু ফাইনাল খেলায় প্রতিপক্ষ দল ফ্রান্স, খেলোয়াড় এমবাপ্পেকে নিয়ে কিছুটা টেনশনেই ছিলেন তিনি। তাই টেলিভিশন বন্ধ করে খেলা না দেখার চিন্তা করেছিলেন। খেলা শুরুর পর কিছু সময়ের জন্য টেলিভিশন বন্ধও করে রেখেছিলেন তিনি।

পরীমনি বলেন, ‘ফলাফল কী হবে, এ নিয়ে গতকাল সারা দিনই আমার মধ্যে টেনশন কাজ করছিল। টেনশন কমাতে খেলা শুরুর কিছুক্ষণ পরই আমি শুয়ে পড়ি। রাজ খেলা দেখছিল। যখন মেসিরা দুই গোল দিয়ে দেয়, তখন রাজ আমাকে খবরটি জানায়। আমি চিৎকার দিয়ে আবার খেলা দেখতে বসি।’

এরপর অঘটন শুরু হয়। খেলার শেষ পর্যায়ে গিয়ে ফ্রান্স গোল পরিশোধ করে দিলে পরীমনি আবার টেনশনে পড়ে যান।

তিনি বলেন, ‘যখন গোল পরিশোধ হয়ে যায়, আমার হৃৎস্পন্দন বেড়ে যায়। আমি আর টেলিভিশনের সামনে থাকতে পারিনি। ওই সময় আমার যা অবস্থা হয়েছিল, আর্জেন্টিনা হেরে গেলে আমাকে নির্ঘাত হাসপাতালে নিতে হতো রাজকে। ওই সময় আমি পাগলের মতো বারবার বলছিলাম “মেসি তুমি কিছু একটা করো, কিছু একটা করো।”

Advertisement