Homeঅন্যান্যআমদানির অনুমতি দিতেই অর্ধেকে নেমে টমেটোর দাম

আমদানির অনুমতি দিতেই অর্ধেকে নেমে টমেটোর দাম

কোরবানি ঈদের সপ্তাহখানেক আগে হঠাৎ করেই টমেটোর দাম রেকর্ড ছুঁয়েছিল। পাইকারিতে তো বটেই খুচরাতেই বিক্রি হচ্ছিল কেজি ২৬০ টাকা। ঈদের পরদিন থেকেই আবার দাম অর্ধেক কমে কেজি ১০০-১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঈদের আগের সপ্তাহে ৩ জুলাই থেকে ভারত থেকে টমেটো আমদানির অনুমতি দিয়েছে কৃষি বিভাগের উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ দপ্তর। গত কয়েক দিনে প্রায় ৬০ হাজার টন টমেটো আমদানির অনুমোদন দিয়েছে সরকারের এই বিভাগ। এরপর থেকে দাম কমে যায়।

উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক নিতাই চন্দ্র বণিক বলেন, ‘৩ জুলাই থেকে টমেটো আমদানির অনুমতি দেওয়া শুরু হয়েছে। মাঝখানে ঈদের ছুটি ছিল। গত ১৩ জুলাই পর্যন্ত সাড়ে ৫৮ হাজার টন টমেটো আমদানির অনুমোদন বা আইপি নিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এরই মধ্যে আমদানীকৃত টমেটো বাজারে বিক্রি হচ্ছে। তবে কী পরিমাণ আমদানি হয়েছে, তার হিসাব এখনো পাইনি। ’

রিয়াজ উদ্দিন বাজার আড়তদার কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক ফারুক শিবলী বলেন, ‘ঈদের কয়েক দিন আগে থেকেই বাজারে টমেটোর দাম কমতে শুরু করেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার প্রতি ক্যারেট (২৬ কেজি) এক হাজার ৩০০ টাকায় বিক্রি হয়। জুলাইয়ের শুরুতে টমেটো বিক্রি হয়েছিল ক্যারেট দুই হাজার ৬০০ টাকায়। তখন অবশ্য ভারতীয় টমেটো ছিল না। শুধু দেশি টমেটোই বাজারে ছিল। ’

তিনি জানান, পঞ্চগড়, রাজশাহী ও দিনাজপুর থেকে এই দেশি টমেটো উৎপাদিত হয়ে চট্টগ্রাম আসে। মে মাসের মাঝামাঝি থেকে জুন পর্যন্ত সেটি বাজার দখল করে এবং ভালো দামে বিক্রি হয়। জুলাই থেকে দেশি টমেটো থাকে না বললেই চলে। তখন ভারত থেকে আমদানি হয়েই টমেটোর চাহিদা মেটানো হয়। এত বেশি দাম বাড়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, টমেটো উৎপাদনের ওই অঞ্চলে এবার বন্যার কারণে ফসল নষ্ট হয়েছে। ফলে শেষদিকে এসে চাহিদা অনুযায়ী টমেটো বাজারে আসেনি। ফলে দাম বেড়ে গিয়েছিল।

চট্টগ্রামে কাজীর দেউড়ীর খুচরা বাজারে গতকাল ভারতীয় টমেটোর পাশাপাশি কিছু দেশি টমেটোও বিক্রি হচ্ছিল। সেগুলোর কেজি এখনো ২৫০ টাকা। পতেঙ্গা সমুদ্র উপকূল এবং সীতাকুণ্ড অঞ্চলে খুব সীমিত পরিসরে এই টমেটো উৎপাদিত হয়েছে।

ভারতীয় টমেটো বিপুল পরিমাণে আসার প্রমাণ মেলে ভ্রাম্যমাণ ভ্যানগাড়িতে এই টমেটোর বিক্রি দেখে। চট্টগ্রামের রিয়াজ উদ্দিন বাজার থেকে ভ্যানগাড়িতে করে সড়কে সড়কে এসব টমেটো বিক্রি করছিলেন বিক্রেতা। আর ডাক দিচ্ছিলেন, কেজি ১২০। দরদামের পর ১০০ টাকায়ও বিক্রি করতে দেখা গেছে।

Advertisement