Homeসব খবরক্রিকেটআবারও মুস্তাফিজের ঝলক! চেন্নাইয়ের বড় জয়

আবারও মুস্তাফিজের ঝলক! চেন্নাইয়ের বড় জয়

গুজরাটের বিপক্ষে শুরুর দিকে বেশ খরুচে হলেও শেষ দিকে ঠিকই জ্বলে উঠলেন চেন্নাইয়ের মুস্তাফিজুর রহমান। ৪ ওভারে ৩০ রান খরচায় শিকার করেছেন দুই উইকেট। শিবাম দুবের ঝোড়ো ফিফটিতে দুইশো ছাড়ানো সংগ্রহের পর মুস্তাফিজ-দীপক চাহারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে গেল আসরের রানার্সআপ গুজরাট টাইটান্সের বিপক্ষে ৬৩ রানের বড় জয় পেয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।

মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) চেন্নাইয়ের এমএ চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ২০৬ রান সংগ্রহ করে চেন্নাই। দলের সর্বোচ্চ ৫১ রান করেছেন শিবম দুবে। এ ছাড়া ২০ বলে ৬ চার ও ৩ ছক্কায় ৪৬ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেছেন রাচিন রবীন্দ্র।

জবাবে নির্ধারিত ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪৩ রানের বেশি করতে পারেনি গুজরাট। সর্বোচ্চ ৩৭ রান করেছেন সাই সুদর্শন। এ ছাড়া কেউই ইনিংস বড় করতে পারেননি। যার খেসারত দিয়েছে দল। চেন্নাইয়ের হয়ে দুটি করে উইকেট শিকার করেছেন, দীপক চাহার, মুস্তাফিজ এবং তুষার দেশপান্ডে।

আগের ম্যাচে নিজের প্রথম ওভারেই জোড়া সাফল্য পেয়েছিলেন মুস্তাফিজ। যদিও আজ গুজরাটের বিপক্ষে শুরুটা রাঙাতে পারেননি। নিজের কোটার প্রথম দুই ওভারে ২৩ রান খরচ করলেও উইকেটের দেখা পাননি। টাইগার পেসারের ঘাটতি পুষিয়ে দিয়েছেন চেন্নাইয়ের বাকি বোলাররা।

চতুর্থ উইকেটে ডেভিড মিলার এবং সাই সুদর্শন বড় জুটি গড়ার চেষ্টা করলেও সেটা হতে দেননি ভারতীয় পেসার তুষার দেশপান্ডে। মিলারকে ফেরানোর পর দ্রুত সময়ে আজমতউল্লাহ ওমরজাইকেও ফেরান তিনি।

গুজরাটের ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মিছিলে কিছুটা লড়াই করে গেছেন সাই সুদর্শন। সর্বোচ্চ ৩৭ রান এসেছে সুদর্শনের ব্যাট থেকে। বিপজ্জনক হয়ে ওঠা এই ব্যাটারকে ফিরিয়েছেন ইনজুরি কাটিয়ে দলে ফেরা মাথিশা পাথিরানা। এদিকে, নিজের প্রথম স্পেলে ভালো করতে না পারলেও শেষদিকে ঠিকই জ্বলে উঠেছেন মুস্তাফিজ। ১৭ তম ওভারে দুর্দান্ত স্লোয়ারে সাজঘরে ফেরান আফগানিস্তানের বিধ্বংসী ব্যাটার রশিদ খানকে। ওই ওভারে খরচ করেন মোটে ১ রান। নিজের ম্যাচের ১৯তম ওভারে নিজের কোটার শেষ ওভারটা করতে এসেও দুর্দান্ত বোলিং করেছেন ফিজ। গুজরাটের শেষ ব্যাটার রাহুল তেওয়াটিয়াকে দারুণ এক কাটারে সাজঘরে ফিরিয়েছেন তিনি। চেন্নাইয়ের হয়ে দুই ম্যাচেই তুলে নিলেন ৬ উইকেট।

এর আগে টস হেরে শুরুতে ব্যাটিং করতে নেমে দুই ওপেনারের ব্যাটে উড়ন্ত শুরু পায় চেন্নাই। বিশেষ করে রাচিন রবীন্দ্র এদিন রীতিমতো টর্নেডো বইয়ে দেন। তবে সাজঘরে ফিরেছেন হাফ সেঞ্চুরি না পাওয়ার আক্ষেপ নিয়ে। রশিদ খানের বলে স্ট্যাম্পিং হওয়ার আগে ২০ বলে করেছেন ৪৬ রান। তাতে ভাঙে ৬২ রানের জুটি উদ্বোধনী জুটি।

আরেক ওপেনার রুতুরাজ গায়কোয়াড়ের ব্যাট থেকেও এসেছে ঠিক ৪৬ রান। তবে অধিনায়ক কিছুটা ধীর গতিতে ব্যাটিং করেছেন। এই ইনিংস খেলেছেন ৩৬ বলে। তিনে নেমে খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি আজিঙ্কা রাহানে। এই অভিজ্ঞ ব্যাটার ১২ বলে ১২ রান করে সাজঘরে ফিরেছেন।

দুই ওপেনার হাফ সেঞ্চুরির কাছাকাছি গিয়েও ছুঁতে পারেননি। সেই আক্ষেপের ক্ষতে কিছুটা হলেও প্রলেপ দিয়েছেন শিবম দুবে। চারে খেলতে নেমে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিলেন এই অলরাউন্ডার। ২২ বলে করেছেন ব্যাক্তিগত ফিফটি। মাইলফলক ছুঁয়ে আর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ফিরেছেন ২৩ বলে ৫১ রান করে।

শেষদিকে পরিস্থিতির দাবি মিটিয়ে ব্যাটিং করতে পারেননি ড্যারিল মিচেল। ২০ বলে করেছেন অপরাজিত ২৪ রান। তবে সামির রিজভীর ৬ বলে ১৪ রান করেছেন। সবমিলিয়ে দুইশ ছাড়ানো সংগ্রহ পায় চেন্নাই।

Advertisement