Homeসব খবরজেলার খবরআগাম আলু তোলায় ব্যস্ত জলঢাকার কৃষকরা

আগাম আলু তোলায় ব্যস্ত জলঢাকার কৃষকরা

উৎপাদিত আলুর চাহিদা থাকায় লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা। ফলে এ জেলার অনেক কৃষকের ভাগ্য বদলের পাশাপাশি দেশের অর্থনীতে ভূমিকা রাখছে এ অঞ্চলের কৃষকরা। স্থানীয় বাজারে চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায় যাচ্ছে এ আলু। আগাম আলু উত্তোলনকে ঘিরে কৃষক-ক্ষেত মজুর ব্যস্ত সময় পার করছেন। নীলফামারীর জলঢাকায় আগাম জাতের নতুন আলু উত্তোলন শুরু হয়েছে।

উত্তোলন শুরু হওয়ার পরপরই রাজধানীসহ অন্যান্য জায়গা থেকে আলু ব্যবসায়ীরা এলাকার কৃষকের বাড়িতে ভিড় করছেন। তারা একে অন্যের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে দাম হাঁকিয়ে ৬৫-৭০ টাকা কেজিতে কৃষকদের কাছ থেকে আগাম জাতের (কারেজ, সেভেন)নতুন আলু কিনছেন। এই আলু ট্রাকে রাজধানীসহ বিভিন্ন জেলা শহরে যাচ্ছে।

চলতি বছর জলঢাকায় ৩০৪১ হেক্টর জমিতে আলু আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়।এরমধ্যে ১০৪১ হেক্টর জমিতে আগাম আলু আবাদ করা হয়। মীরগঞ্জ ইউনিয়নের নিজপাড়া এলাকার কৃষক আব্দুল কাদের জানান, গত বছর আগাম আলু উত্তোলন করে ৪০-৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছে। তিনি ২ বিঘা জমিতে আগাম আলু চাষ করে এবার প্রতি কেজি ৬০-৭০ টাকা করে পাইকারি বিক্রি করেছেন।

এলাকার কৃষক বাবুল মিয়া জানান, ২ বিঘা জমিতে কারেজ আলু ৭০ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি করেছি। যা খরচ বাদে দ্বিগুণ লাভ। অন্যদিকে বালাগ্রাম ইউনিয়নের বাবুপাড়ার কৃষক স্বাধীন রায় জানান, তিনি ৩ বিঘা জমিতে সেভেন জাতের আলু লাগিয়েছেন। আর এক সপ্তাহ পর তা উত্তোলনের উপযোগী হবে। সপ্তাহ পরে আলুর দাম কিছুটা কমে গেলেও ৫০ টাকার নীচে বিক্রি হবে না।

উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ সুমন আহমেদ জানান, এই তিস্তা অববাহিকা এলাকার মাটি ও আবহাওয়া আগাম আলু চাষের জন্য খুব উপযোগী। আলুর পাশাপাশি জলঢাকায় আগাম জাতের অনেক সবজি আবাদ হয়েছে। আমরা কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করে এবং মাঠে থেকে তাদের সহায়তা করে যাচ্ছি। আগাম এসব সবজির ফলনও হয়েছে ভালো। ভালো দাম পেয়ে চাষিরা অনেক খুশি।

Advertisement