Homeসব খবরজেলার খবরআইভীকে শামীম ওসমানের সান্ত্বনা

আইভীকে শামীম ওসমানের সান্ত্বনা

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াত আইভীর মা মমতাজ বেগমের প্রয়াণে তার বাড়িতে গিয়ে তাকে সান্ত্বনা দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান। এ সময় আইভীকে সান্ত্বনা দিয়ে সেখানে বেশ কিছুক্ষণ সময় কাটান শামীম ওসমান।

গতকাল মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) বিকেল পৌনে ৫টার দিকে তার দেওভোগের বাড়ি চুনকা কুটিরে যান শামীম ওসমান। এর আগে বিকেলে মাসদাইরে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন কেন্দ্রীয় কবরস্থানে মেয়র আইভীর মাতা মমতাজ বেগমের কবর জিয়ারত ও দোয়া করেন তিনি।

আইভীর বাড়িতে প্রবেশ করেই সেখানে আইভীর দুই ভাই ও বিলুপ্ত নারায়ণগঞ্জ পৌরসভার প্রয়াত চেয়ারম্যান নগরপিতাখ্যাত আলী আহাম্মদ চুনকার দুই ছেলে আহমেদ আলী রেজা উজ্জ্বল ও আলী রেজা রিপনকে সান্ত্বনা দেন। তাদেরকে এই শোক সহ্য করার ধৈর্য যেন আল্লাহ দেন সেজন্য দোয়া করেন তিনি।

আইভীর পাশে বসে শামীম ওসমান বলেন, চাচি খুব ভালো মানুষ ছিলেন, আল্লাহওয়ালা ছিলেন। আমাদের এখন তার জন্য দোয়া করতে হবে আর এমনভাবে চলবে হবে যেন তাদের আত্মা শান্তি পায়। আমিও এতিম আমি বুঝি এতিম হওয়াটা কত কষ্টের সেটা যেই বয়সেই হয় না কেন।

এ সময় আইভী বলেন, আগামী শনিবার বাদ আসর দোয়া ও মিলাদ আমাদের মসজিদে আপনারা আসবেন। পরে শামীম ওসমান তার সঙ্গে সেখানে যাওয়া আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, শ্রমিক লীগ, কৃষক লীগসহ দলের বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের জানান, শনিবার চাচির মিলাদ আপনারা মাস্ক পড়ে নিয়ম মেনে এখানে আসবেন।

এর আগে কবর জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের শামীম ওসমান বলেন, মৃত মানুষের কোনো পরিচয় নেই। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি আমার এখানে আরও আগে আসা উচিত ছিল। কিন্তু আপনারা জানেন আমার স্ত্রী খুব গুরুতর অসুস্থ। আজকে আপনাদের সবার দোয়ায় একটু ভালো অবস্থায় আছেন। আমি প্রথমেই তার জন্য দোয়া চাচ্ছি।

শামীম ওসমান বলেন, আলী আহমদ চাচার সহধর্মিণীর কথা আমার মনে পড়ছে। আমি যখন ৯৬ সালে প্রথম এমপি হলাম জমির আহমেদ জমু ভাই আমাকে নিয়ে গেলেন এবং আমাকে বললেন তাদের বাড়ির সামনের রাস্তাটি আলী আহমদ চাচার নামে নামকরণ করো। আমি বললাম এটা আমাদের সৌভাগ্য। আমি সঙ্গে সঙ্গে সেটার নামকরণ করি। তখন আমি আলী আহমদ চাচার বাসায় যাই। তার সহধর্মিণীও আমার মায়ের মতো। তিনি একজন মা সন্তানকে যেভাবে ভালোবাসে, সেভাবেই ভালোবাসা দিয়েছিলেন। তিনি আল্লাহওয়ালা মানুষ ছিলেন। আমাদের তার জন্য কিছু কারার নেই। আমি নিজের মায়ের জন্য যেভাবে দোয়া করি। এখানে যারা শুয়ে আছেন সবার জন্য দোয়া করি। আল্লাহ যেন তাকে বেহেশত নসিব করেন।

তিনি বলেন, আলী আহমদ চাচার পাঁচজন ছেলে-মেয়ে আছেন। এতিম হওয়া যে কত কষ্টের সেটা যে হারায় সে বুঝে, তা যেই বয়সেই হোক। বাবা-মা যখন চলে যায় তখনই বোঝা যায়। আমি নিজেও একজন এতিম। এতিমের যে কষ্ট এই কষ্ট আল্লাহ যেন তাদের সহ্য করার তৌফিক দান করেন। আমি তাদের প্রতি সহানুভূতি জানাই। তারা যেন ওই পথে চলেন যে পথে চললে তাদের বাবা-মা যেন শান্তি পান। আমরা সবাই যেন এইভাবে এবাদত করতে পারি যেন আমাদের পূর্ব পুরুষরা শান্তি পায়।

তিনি আরো বলেন, আমি গত তিনদিন প্রচণ্ড বাজে অবস্থায় ছিলাম। আমার স্ত্রী এখনও শয্যাশায়ী। আল্লাহর রহমতে মানুষের দোয়ায় আশা করি সুস্থ হয়ে যাবেন। যিনি চলে গেছেন তিনি আমার মায়ের মতো ছিলেন। আমরা তার সন্তান। তার বাড়িতে গিয়ে সহানুভূতি প্রদর্শন করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।

Advertisement