আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে সজনের ভালো ফলনের আশা করছেন সজনে চাষি ও সংশ্লিষ্ট কৃষি অধিদফতর। উপজেলায় প্রচুর সজনের গাছ রয়েছে। বহুগুণে গুণান্বিত যাদুকরি সবজি সজনে। ঔষধি গুণে ভরা, সুস্বাদু, কোনো উৎপাদন খরচ নেই, অধিক লাভজনক এবং বাজারে ব্যাপক চাহিদা সম্পন্ন সবজি সজনে। কুষ্টিয়ার ভেড়ামারার গাছে গাছে এখন শোভা পাচ্ছে নান্দনিক সজনে।
এক বেসরকারি সংস্থা নবলোকের প্রকাশিত ‘নিউট্রিশন ফ্যাকটর অফ মরিঙ্গা লিপ’এ উল্লেখ করা হয়েছে সজনের পাশাপাশি সজনে পাতা পুষ্টি ঘাটতি পূরণে বিশেষ ভূমিকা রাখে। শরীরে কোলস্টরলের মাত্রা ঠিক রাখে, হজমের সাহায্য করে, শরীরে পুষ্টি ও শক্তি যোগায়, বাড়তি ওজন কমাতে সাহায্য করে এবং সজনার গুঁড়ার পেস্ট ত্বকের জন্য উপকারী ও লিভার এবং কিডনি সচারাচর দু ধরনের হয়ে থাকে, মৌসুমি জাতের বেশিরভাগ আবাদ হয়ে থাকে।
এসব নানাবিধ গুণের কারণে প্রতিবছর দেশে প্রায় সবস্থানে প্রচুর পরিমাণে সজনের চারা ও ডাল রোপণ করা হয়। একক কোনো চাষাবাদ কোথাও না হলেও প্রতিটি অঞ্চলে অন্যান্য ফসল আবাদের অনুপযোগী যেমন ক্ষেতের আইল, ঘরের বাঁধ এবং রাস্তার দু’পাশ দিয়ে মৌসুমি সজনার আবাদ রয়েছে।
সজনে চাষে সাধারণ মানুষকে উৎসাহিত করতে সব রকম পর্রামশ দিয়ে আসছে উপজেলা কৃষি অধিদফতর। পুষ্টিগুণ দিক থেকে সজনে অত্যন্ত উপকারী একটি সবজি। সজনে লবণ সহি একটি ফসল। অন্যান্য সবজির ক্ষেত্রে পরিচর্যার প্রয়োজন হলেও অনেকটা পরিচর্যাও প্রয়োজন ছাড়াই সজনের উৎপাদন সম্ভব। সজনে অল্প দিনেই খাওয়ার উপযোগী হয় এবং বাজারজাত করা যায়। খেতে সু-স্বাদু ও বাজারে প্রচুর চাহিদা থাকায় সবজির আবাদ অত্যন্ত লাভজনক।