গত জুলাইতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্টে সেঞ্চুরি করেই মাহমুদউল্লাহ টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিতে চেয়েছিলেন।সতীর্থদের এ ব্যাপারে জানালেও বিসিবি ও গণমাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছুই জানাননি তিনি। অবশেষে বুধবার রাতে বিসিবি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়েছে, টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ টেস্ট থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে অবসর নিয়ে ফেলেছেন। (২৪ নভেম্বর) রাতে বিসিবি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়েছে, টেস্ট থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে অবসর নিয়েছেন টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
অবসরের ঘোষণা দিয়ে রিয়াদ বলেন, টেস্ট দলে ফেরার পর আমাকে সমর্থন করায় বিসিবি সভাপতির প্রতি কৃতজ্ঞতা। আমার টেস্ট সামর্থ্যের ওপর বিশ্বাস রাখা এবং আমাকে সব সময় সমর্থন জোগানোর জন্য সতীর্থ ও কোচিং স্টাফের সবার প্রতি কৃতজ্ঞ। দেশের হয়ে টেস্ট খেলতে পারা পরম সম্মান ও সৌভাগ্যের বিষয়। এই স্মৃতি আমি সব সময় মনে রাখব। রিয়াদ আরও বলেন, যে সংস্করণে এতদিন ধরে খেলেছি সেটি ছেড়ে দেওয়া সহজ নয়। সব সময় এটি নিয়ে চিন্তা করেছি। আমি মনে করি এটাই আমার টেস্ট ক্যারিয়ারকে বিদায় জানানোর সঠিক সময়।
জিম্বাবুয়ে সিরিজ দিয়ে দীর্ঘ ১৬ মাস পর টেস্ট দলে ফিরে দেড়শ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন মাহমুদউল্লাহ। তখনই তিনি অবসরের কথা জানান সতীর্থদের। ওই ম্যাচ চলাকালে বা ম্যাচ শেষেও রিয়াদ অবসরের ব্যাপারে কোথাও আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা দেননি। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে হতাশাজনক পারফরম্যান্সের পর গুঞ্জন ওঠে মাহমুদউল্লাহ টেস্ট থেকে বাদ পড়ছেন। সেই গুঞ্জন সত্যিও হয় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ম্যাচের পর, পরের টেস্ট থেকে বাদ পড়েন।
বাংলাদেশের হয়ে ৫০টি টেস্ট খেলেছেন রিয়াদ। এই ফরম্যাটে আছে পাঁচটি শতক ও ১৬টি অর্ধশতক। ৩৩.৪৯ গড়ে রান করেছেন ২৯১৪। টেস্টে বাংলাদেশের ষষ্ঠ সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক তিনি। পার্টটাইম বোলিংয়ে নামের পাশে আছে ৪৩টি উইকেট। ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক হিসেবে ৬টি টেস্টে দলকে নেতৃত্বও দিয়েছেন তিনি।