Homeঅন্যান্যঅবশেষে দেড় লাখ টাকা দামের পাখিটি উদ্ধার করল পুলিশ

অবশেষে দেড় লাখ টাকা দামের পাখিটি উদ্ধার করল পুলিশ

রাজধানীর পান্থপথে পানি ভবনের সামনে থেকে ছিনতাই হয়ে যাওয়া ম্যাকাও পাখিটি উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনার দুদিন পর, একই এলাকা থেকে এটিকে উদ্ধার করে পুলিশ। পাখিটির দাম প্রায় দেড় লাখ টাকা। পাখি উদ্ধারের বিষয়ে জানতে চাইলে গত মঙ্গলবার তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন বলেন, পাখিটি ছিনতাই হওয়ার অভিযোগ পেয়ে উদ্ধার করা হয়েছে।

ওসি আরো বলেন, পাখিটি ছিনতাইয়ের সঙ্গে একটি ছেলে জড়িত। তার খোঁজ চলছে। সে এটি ছিনিয়ে বিক্রির চেষ্টা করছিল। কিন্তু পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পাখি ফেলে পালিয়ে যায় সে। পরে আমরা এটি উদ্ধার করি।এর আগে পাখির মালিক তেজগাঁও থানা ও ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সদর দপ্তরে এ বিষয়ে সহযোগিতা চেয়ে আবেদন করেন।

এরপর পুলিশের পাশাপাশি পাখিটিকে উদ্ধারে সহযোগীতা করে বিপদগ্রস্ত পশু-পাখি উদ্ধারে সহায়তায় করা সংগঠন ‘রবিনহুড দ্যা অ্যানিমেল রেস্কিউ’। তবে উদ্ধার হলেও পাখিটি দুদিন ছিনতাইকারীর কাছে থাকায় কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়েছে। ধুসর রঙের আফ্রিকান ম্যাকাও পাখিটির লেজের দিকে টকটকে লাল। নাম ‘মলি’। বয়স ১১ বছর।

ভুক্তভোগী পরিবার জানায়, মাত্র কয়েক মাস বয়সী ম্যাকাও পাখি ‘মলি’কে ১১ বছর আগে এক লাখ টাকায় কেনা হয়। এরপর থেকে পরম যত্নে পাখিটিকে পুষছিলেন তারা। আদরপ্রিয় পাখিটি এক পর্যায়ে পরিবারের সদস্য হয়ে ওঠে। মানুষের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য বহু শব্দ বলতে পারে পাখিটি। পুলিশের তৎপরতায় আদরের মলিকে ফিরে পেয়ে পাখির মালিক আনিলা বলেন, ৩০ ডিসেম্বর পাখিটির জন্মদিন। এর আগেই তাকে হারিয়ে চরম মন খারাপ হয়েছিল।

তিনি জানান, মায়ের সঙ্গে একটি কাজে খিলগাঁও থেকে আমি পান্থপথে গিয়েছিলাম। সঙ্গে মলি (ম্যাকাও পাখি) ছিল। সেখান থেকে রিকশায় করে ফেরার পথে পানি ভবনের সামনে আসতেই একটি ছেলে ছোঁ মেরে পাখিটি নিয়ে যায়। এসময় অনেক চিৎকার করছিল পাখিটি। কিন্তু ছেলেটি দৌড়ে লুকিয়ে যায়।

পরবর্তীতে অভিযোগ জানাতে প্রথমে রমনা থানায় যান। পরে কলাবাগান থানায়। দুটি থানা থেকে জানানো হয় এটি তাদের এলাকা নয়। এরপর তেজগাঁও থানায় গিয়ে অভিযোগ দেন। পাখিটি উদ্ধারে সহায়তার জন্য ডিএমপি সদর দপ্তরের সহায়তা চান তিনি জানিয়ে বলেন, পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগের পাশাপাশি কাঁটাবনে খোঁজ নেন। যদি কোনো দোকানে ছিনতাইকারী বিক্রি করে দেয় তার খোঁজ করেন তিনি।

তিনি বলেন, পাখিটি আমাদের ছাড়া কারো হাতে খায়ও না। সব কিছু মিলিয়ে অনেক দুশ্চিন্তা হচ্ছিল। পরে সোমবার রাতে পাখিটি উদ্ধার করে দেয় পুলিশ। এ সময় পাখিটিকে খাঁচায় বন্দি করে রাখে। কিছু খেতেও দেয়নি ছিনতাইকারী।

এ বিষয়ে সংগঠনটির পরিচালক আফজাল জানান, পাখিটি ছিনতাই হওয়ার পর ভুক্তভোগী জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন করেন। পাখিটি উদ্ধারে আমাদের স্পেশাল ইউনিট কাজ শুরু করে। প্রায় ৮ ঘণ্টার চেষ্টায় উদ্ধার হয় পাখিটি। উদ্ধার অভিযানে গিয়ে আমি নিজেও আহত হয়েছি।

Advertisement