Homeঅন্যান্যহাট কাঁপাবে ‘বাংলার রাজা, দাম ৩৫ লাখ টাকা

হাট কাঁপাবে ‘বাংলার রাজা, দাম ৩৫ লাখ টাকা

যেমন তেজ, তেমনি গর্জন। সখ করে নাম রাখা হয়েছে ‘বাংলার রাজা’। ওজনে ৪০ মণ ছাড়াবে। আসন্ন ঈদুল আজহার জন্য পশুটিকে পরম যত্মে লালন-পালন করেছেন বগুড়ার শেরপুরের হাজিপুর এলাকার আজিজুল ইসলাম শাওন।

আদর করে ডাকেন ‘বাংলার রাজা’ বলে। দাম হাঁকছেন ৩৫ লাখ টাকা। বিগত পাঁচ বছর ধরে গরুটি পালছেন শাওন। তবে দাম নিয়ে কড়াকড়ির চেয়ে যারা আদর ও যত্ন সহকারে গরুটি কিনবে তাদের জন্য বিশেষ ছাড় দেওয়া হবে জানিয়েছেন রাজা বাবুর মালিক। স্থানীয় কেউ নিলে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত নিজ খরচে ষাঁড়টিকে লালন পালন করে দেওয়া হবে।

বাংলার রাজার মালিক শাওন বলেন, কোরবানির ঈদের আগে পত্রিকায়, টেলিভিশনে বড় বড় গরুর ছবি খামার গড়ে তোলা স্বপ্ন দেখেন তিনি। পরবর্তীতে তার বাবা আখতারুজ্জামান পল্টুর কাছে নিজের শখের কথা বলেন। পরে তার বাবা অস্ট্রেলিয়ান ফ্রিজিয়ান জাতের গাভীসহ একটি ষাঁড় বাছুর কিনে দেন।

এরপর থেকে দীর্ঘ পাঁচ বছর পশুটি লালন-পালন করেন শাওন। বর্তমানে ষাড়টির ওজন এক হাজার ৬০০ কেজি। শাওনের দাবি, রাজশাহী বিভাগের মধ্যে তার বাংলার রাজা সবচেয়ে বড়। বিভিন্ন হাটে খোঁজ নিয়ে এত বড় কোনো ষাঁড় চোখে পড়ছে না। তার বাংলার রাজাকে দেখতে প্রতিদিন হাজারো মানুষ তার খামারে আসছে।

দেখার পর তাদের মন্তব্য, এটি ষাঁড় না-কি ‘রাঙামাটির পাহাড়’ কেউ বলছেন ‘মহাস্থানের গড়’। আবার অনেকেই বলছেন, এটি একটি ‘হাতি’।

শাওনের বাবা আখতারুজ্জামান পল্টু বলেন, ‘বাড়িতে গড়ে তোলা খামারে আগে থেকেই পশু পালন করে আসছি। ছেলেটিরও শখ ষাঁড় পালন করবে। তাই আমিও তাতে সায় দেই। তাকে আলাদা করে একটি ষাঁড় বাছুর দেই। প্রতিদিন পশুটিকে ভূষি, খৈল, খড়, ধানের কুড়া, কাঁচা ঘাস খাইয়েছি। এজন্য গড়ে প্রতিদিন হাজার থেকে ১২শ টাকা ব্যয় হয়েছে।

পশুর নাম ‘বাংলার রাজা’ কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মধ্যে সেরা গরু হবে এ জন্য ‘বাংলার রাজা’ নাম রাখা হয়েছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘গরুটির দাম ৩৫ লাখ টাকা চাওয়া হচ্ছে। ক্রেতারা দর-দাম করেই নেবে। গরুটি পালতে গত ৫ বছরে খরচ হয়েছে প্রায় ২২ লাখ টাকা। গরু আপাতত খামার থেকেই বিক্রির চেষ্টা করা হচ্ছে। যদি বিক্রি না হয় তাহলে ঈদের ৩দিন আগে ঢাকার পশু হাটে নিয়ে যাওয়া হবে।’

সূত্র: কালের কণ্ঠ অনলাইন।

Advertisement