Homeসব খবরজেলার খবরহরিরামপুরে রাজমিস্ত্রির গোয়ালে ৩০ মণ ওজনের সম্রাট

হরিরামপুরে রাজমিস্ত্রির গোয়ালে ৩০ মণ ওজনের সম্রাট

মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার রাজমিস্ত্রি জাকির হোসেনের গোয়ালে কোরবানির জন্য প্রস্তুত ১২শ কেজি (আনুমানিক ৩০ মণ) ওজনের এক ষাড়। আদর করে নাম রাখা হয়েছে সম্রাট। জীবিকার জন্য বাড়ির কর্তা জাকির হোসেন সম্রাটের সেবা যত্ন করতে না পারলেও স্ত্রী ও ছেলে মিলে দিন রাত পরিশ্রম করেছেন শখের সম্রাটকে প্রস্তুত করতে।

সাদা কালো রঙের মিশ্রণের হলেস্টাইন ফ্রিজিয়ান জাতের ৩৬ মাস বয়সী এই সম্রাটের ওজন আনুমানিক প্রায় ১২শ কেজি বা ৩০ মণের মতো। খামারি গরুটির দাম হাঁকছেন ১২ লাখ টাকা। বাল্লা ইউনিয়নের ইছাইল গ্রামের হামেদ আলীর ছেলে জাকির হোসেন পেশায় একজন কাঠমিস্ত্রী। শখের বশবর্তী ও সঙ্গে বেশি আয়ের আশায় পাশের গ্রাম থেকে ২০ মাস আগে তিনি কিনেছিলেন একটা হলেস্টাইন ফ্রিজিয়ান জাতের ষাঁড় বাছুর। আর তখনই আদর করে শখের বশে গরুটির নাম রাখা হয়েছিল ‘সম্রাট’।

সম্প্রতি সরেজমিনে ইছাইল গ্রামের জাকির হোসেনের খামারে গিয়ে দেখা যায়, সাদা কালো রঙের মিশ্রণে বিশালাকার এই সম্রাটকে এক নজর দেখতে প্রতিবেশিসহ পার্শ্ববর্তী গ্রাম থেকেও লোকজন ছুটে এসেছে।

খামারি জাকির হোসেন বলেন, আমার আয়ের সব টাকাই এই সম্রাটের পেছনে খরচ হয়েছে। প্রতি মাসে সম্রাটের পেছনে আমার ১৫-১৬ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। ২০ মাস আগে সম্রাটের যখন ১৪-১৫ মাস বয়স আমি তখন ৭৪ হাজার টাকায় সম্রাটকে কিনি। আমার কাছে আসার পর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ৩ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। সম্পূর্ণ ভেজালমুক্ত খাদ্য খাবার দিয়ে গরুটাকে এতো বড় করেছি। এই গরুর খাবারের পেছনে যে খরচ হয়, তা আমি আর যোগান দিতে পারছি না। আমি গরীব মানুষ এতো টাকা কই পামু। তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবছরই গরুটা বিক্রি করার। তবে আমি আশায় আছি বাড়ি থেকে যেন গরুটা বিক্রি করতে পারি। এ জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।

Advertisement