Homeসব খবরবিনোদনশাকিব থাকতে নতুন লাইফ পার্টনার লাগবে কেন : অপু...

শাকিব থাকতে নতুন লাইফ পার্টনার লাগবে কেন : অপু বিশ্বাস

সম্প্রতি একটি টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে অপু বিশ্বাস জানিয়েছেন, জীবনে নতুন কোনো লাইফ পার্টনারের প্রয়োজন নেই। কারণ শাকিব তো আছেই।

তার মানে কী, এখনও শাকিবকেই স্বামী হিসেবে মানেন অপু বিশ্বাস? যদিও প্রশ্নটা ছিল ভিন্ন। সঞ্চালক অপুকে জিজ্ঞেস করেন, জীবন তো এভাবে একা চলবে না। কখনো তো একজন লাইফ পার্টনার লাগবে? এর জবাবে অপু বলেন, ‘যেভাবে জয়ের খেয়াল রাখে শাকিব, আমি মনে করি- তাহলে আর নতুন কাউকে লাগবে কেন?’

এসময় সঞ্চালক এই নায়িকাকে থামিয়ে জিজ্ঞেস করেন, জয়ের জন্য লাগবে না। কিন্তু অপুর জন্য? এর জবাবেও একই উত্তর দেন শাকিবের প্রাক্তন স্ত্রী। অপু বলেন, ‘আমার ক্ষেত্রেও তাই। লাল শাড়ি সিনেমা যখন করেছি, তখন শাকিবের কাছ থেকে সাহায্য পেয়েছি। শুটিং স্পটেও সাহায্য পেয়েছি। তারপরও কেন?

অতীত বলে কিছু খুঁজে পান না জানিয়ে অপু বিশ্বাস বলেন, ‘আমি তো অতীত কিছু খুঁজে পাই না। আমার কাছে সবই নরমাল। আমার বন্ধুরা আছে, আপনারা আছেন। এসব কিছুর পরেও নতুন কাউকে লাগবে কেন?’

অপু বিশ্বাসের কথায় স্পষ্ট, বিচ্ছেদ বা বর্তমান সম্পর্ক যাই হোক না কেন—নিজের জীবনে এখনও জয়ের বাবাকে প্রাধান্য দেন তিনি। যার কারণে জীবনসঙ্গী হিসেবেও নতুন কারো কথা চিন্তা করতে পারেন না।

উল্লেখ্য, ভালোবেসে বিয়ের পর ঢালিউডের আলোচিত জুটির সংসারে পুত্রসন্তান আব্রাহাম খান জয় আসে, ছেলের বয়স যখন দুই বছর তখন বিচ্ছেদের পথে হাঁটেন শাকিব ও অপু। সম্পর্কের টানাপোড়েনের মধ্যে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেন তাঁরা। বিচ্ছেদের ছয় বছরের মাথায় অপু বিশ্বাসের উপলব্ধি হয়েছে, আবেগের বশবর্তী হয়ে সেসব বলেছিলেন। তবে এখন সাকিবসহ তার পরিবারের সবার সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক হয়েছে নায়িকার।

সম্প্রতি অপু বলেছিলেন, ‘আগে কী করছে না করছে, সেটা আমি জানি না, শাকিবের এখন অনেক পরিবর্তন লক্ষ করেছি। সন্তান, পরিবার-পরিজনের প্রতি দারুণ আবেগ কাজ করে তার। শাকিব একজন ভালো মনের মানুষ।’

তিনি বলেন, ‘আমার তো মা-বাবা নেই। শ্বশুর-শাশুড়িই এখন আমার মা-বাবা। তো বাবা-মায়ের বাসায় যাব না কেন? প্রায়ই যাওয়া হয় সেখানে। তাঁরা আমাকে একেবারেই মেয়ের আদরে দেখেন। আমাকে খুব ভালোবাসেন তাঁরা। আমার মা মারা যাওয়ার পর কাছের মানুষদের সঙ্গে মিলেমিশে থাকার বিষয়টি আমি নিজ থেকে বেশি অনুভব করেছি। এতে তাঁদের সঙ্গে সম্পর্কটা আরও গাঢ় হয়েছে আমার।’

Advertisement