Homeসব খবরজেলার খবরলাল, রসালো ও মিষ্টি তরমুজ চিনবেন যেভাবে

লাল, রসালো ও মিষ্টি তরমুজ চিনবেন যেভাবে

কেউ বিরক্তিতে ভ্রুঁ কুঁচকে তরমুজের দিকে তাকিয়ে থেকেছেন আবার কেউবা দীর্ঘশ্বাস লুকিয়েছেন আবার গ্রীষ্মের ফল তরমুজ কিনে বাড়ি ফিরে কেউ স্বস্তিতে হেসেছেন। এসব কিছুই হয় রসালো, লাল ও মিষ্টি তরমুজ কেনার ব্যাপার-স্যাপরের উপর।

তরমুজ কিনে জেতার উপায়গুলো জেনে নিন। তরমুজ কেনার আগে অনেকেই ভাবেন ‘বিশ্বাসে মিলায় বস্তু’, তাই বিক্রেতার উপর ‘সারেন্ডার’ করেই তরমুজ কিনে থাকেন। কিন্তু এত সব না করে খানিকটা যাচাই করার কৌশল থাকলেই সহজেই কিনতে পারবেন ভালো, রসালো, লাল ও মিষ্টি তরমুজ।

প্রথমেই তরমুজ কেনার আগে বেছে বেছে গোলাকৃতি বা ওভাল আকৃতির কিনা দেখে নিবেন। অপেক্ষাকৃত ছোট, বাঁকা তরমুজ কিনবেন না। সাধারণত পর্যাপ্ত পানি না পেলে তরমুজ ছোট ও বাঁকা হয়ে থাকে। এসব তরমুজ মিষ্টি ও রসালো হয় না।

দ্বিতীয়ত, তরমুজ হাতে নিয়ে ওজনটা দেখবেন ভারী কিনা। যদি ভারী হয় তাহলে রসে টইটম্বুর হবে। যদি হালকা বা ফাঁপা মনে হয়, তাহলে বুঝে নিবেন, সেটি ঠিক মতো পাকার আগেই বাজারে চলে এসেছে।

তৃতীয়ত, তরমুজের একটি অংশ হলদে রঙের হলে সেটা কিনবেন। কারণ, তরমুজের যে অংশ দীর্ঘদিন মাটির উপর থাকে, সেই অংশ হলুদ হয়ে যায়। বড় হলুদ দাগ থাকা মানে তরমুজটি ঠিক মতো পেকে যাওয়ার পর জমি থেকে ওঠানো হয়েছে। সাদা দাগ আছে এমন তরমুজ কখনো কিনবেন না। এ ধরনের দাগ থাকা মানে তরমুজ সময়ের আগেই জমি থেকে উঠিয়ে আনা হয়েছে বিক্রির জন্য। তরমুজের গোড়ায় শুকিয়ে যাওয়া অংশ, মানে তরমুজের ডাটা শুকিয়ে গেলে বুঝবেন সেটি ঠিক মতো পেকেছে। কাঁচা থাকলে কিনবেন না।

চতুর্থত, তরমুজের গোড়ায় শুকিয়ে যাওয়া অংশ থাকলে বুঝবেন সেটি ঠিক মতো পেকেছে। মানে তরমুজের ডাটা শুকিয়ে গেলে। এটি সবচেয়ে সহজ উপায় রসালো, লাল ও মিষ্টি তরমুজ চেনার।

পঞ্চম, তরমুজের গায়ে টোকা দিয়ে দেখতে পারেন। ভারি আওয়াজ আসলে সেটি রসালো ও পাকা। অতিরিক্ত ভারী আওয়াজ হয় তাহলে বুঝবেন তরমুজ বেশি পেকে গিয়েছে। আর তরমুজের মাথার দিক হাত দিয়ে টিপে দেখুন। যদি বেশি শক্ত হয় তাহলে বুঝবেন কাঁচা রয়েছে। আবার বেশি নরম হলেও বুঝবেন বেশি পেকে গিয়েছে। হালকা নরম হলে তবেই কিনবেন।

Advertisement