Homeসব খবরজেলার খবররঙিন কপি চাষ করে কৃষকের বাজিমাত

রঙিন কপি চাষ করে কৃষকের বাজিমাত

পাবনা সদর উপজেলার বিলভেদুরিয়া গ্রামের কৃষক আসলাম আলী প্রতি বছর দুই বিঘা জমিতে পালং শাক আর কিছু শীতকালীন সবজি চাষাবাদ করেই এতদিন চলেছে তার জীবন। তবে এবার তিনি আরও দেড় বিঘা জমিতে চাষ শুরু করেছেন নতুন জাতের রঙিন ফুলকপি, পেয়েছেন সাফল্যও।

পাবনা সদরের কৃষক আসলাম আলী ইউটিউব দেখে তার শখ জাগে রঙিন কপি চাষের। শীতকালীন সবজি চাষের মৌসুমের শুরুতে তিনি ঢাকা থেকে সংগ্রহ করে নিয়ে আসেন বেগুনি রঙরের ভেলেনটিনা ও হলুদ রঙের কেরটিনা জাতের রঙিন কপির বীজ। দেশী ফুলকপি বাধাকপির পাশাপাশি দেড় বিঘা জমিতে চাষ শুরু করেন রঙিন কপির। চাষকৃত দেশী কপি ও শীতকালীন সবজির সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়তে শুরু করে রঙিন কপি। কৃষক আসলামের মুখে চাওড়া হাসি কেরটিনা জাতের হলুদ রঙের ফুলকপি ইতোমধ্যে বাজারজাত শুরু করেছেন।

গত ২২ জানুয়ারি থেকে এই রঙিন ফুলকপি বিপনণের জন্য বাজারে নিয়ে এসেই বাজিমাত করেন কৃষক আসলাম। তার দাবি চাষকৃত কপিটি বিষমুক্ত। রঙিন কপির প্রতি ক্রেতাদের আগ্রহ থাকায় দামও পাচ্ছেন ভাল। বাজারে সাধারণ কপি ৪০ থেকে ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আর রঙিন কপি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে।

কৃষক আসলাম আলী বলেন, ‘রঙিন কপি চাষের শুরুতে বিষয়টি নিয়ে কেউ তাকে উৎসহ দেয়নি। তবে বাস্পার আর ভাল দাম পাওয়ায় এখন সবাই খুশি। এখন আমার খেতের হলুদ আর বেগুনি রঙের বিদেশী জাতের কপি দেখতে অনেকে ভিড় করছে। রঙিন কপি চাষের সময় আমার স্ত্রী সহ পরিবারের সদস্যরা আমাকে সহযোগিতা করেছে। যা কারণে আমি রঙিন কপি চাষে উৎসহ পেয়েছি বেশী।’

কৃষক আসলাম আলী জানান, ‘এক বিঘা জমিতে দেশি সাদা কপি চাষ করতে খরচ হয় ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা ফলন ভালো হলে তা বিক্রি হয় ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা আর বিদেশি রঙিন কপি এক বিঘা চাষ করতে খরচ হয়েছে ৩৫ থেকে ৩৮ হাজার টাকা। বর্তমানে রঙিন কপি যে দামে বিক্রি করছি তাতে বিঘা প্রতি ৮০ থেকে ৯০ হাজার টাকা বিক্রি করা যাবে।’

শহরের সবজি বিক্রেতা নান্নু শেখ জানান, সাবজি চাষী আসলাম অনেক আগ থেকে পালং শাক সহ দেশি ফুলকপি ও বাধা কপি পাইকারি সরবরাহ করতো এ বছর প্রথম রঙিন ফুলকপি সরবরাহ করছে যা তিনি নিজেই চাষ করেছে। রঙিন ফুলকপি ক্রেতাদের মাঝে ব্যাপক সারা ফেলেছে স্বাদ ও সাদা কপির থেকে অনেক ভালো। প্রথম ২ দিন ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হয়ছে বর্তমানে প্রতি কেজি ৮০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ পরিচালক ড. মো. আব্দুল মজিদ বলেন, ‘জাপানি জাতের এই রঙিন কপি আমাদের দেশে গত ২ বছর আগে ময়মনসিংহ এলাকায় চাষ শুরু হয়। পাবনাতে চলিত মৌসুমে প্রথম চাষ শুরু হয়েছে রঙিন কপি আমাদের দেশের সাদা কপি চেয়ে অনেক পুষ্টিকর। আগামীতে রঙিন কপি চাষের কেউ আগ্রহ দেখালে আমরা তাকে সহযোগীতা করব।

Advertisement