অভিনেত্রী হিসেবে ভবিষ্যতে নিজেকে কোথায় দেখতে চান, তা নিয়ে এ কথাই বলে গেলেন এ সময়ের আলোচিত তরুণ অভিনেত্রী ও মডেল প্রার্থনা ফারদিন দীঘি।
‘আমি বিশ্বাস করি, এভাবেই পথ চলতে চলতে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারব। অভিনেত্রী হিসেবে নিজেকে প্রথম সারিতে নিয়ে যাওয়া সহজ নয়। তবু শীর্ষবিন্দুর দিকে তাকিয়ে লালন করে যাচ্ছি পরিণত শিল্পী হয়ে ওঠার স্বপ্ন। কাজের মধ্য দিয়ে প্রতিনিয়ত কিছু না কিছু শেখার চেষ্টাও থেমে নেই। ’
যদিও অনেক বছর ধরেই দর্শকের কাছে পরিচিত মুখ দীঘি, তবে সেটি শিশুশিল্পী হিসেবে। তারুণ্যে পা রাখার পর তাঁকে নিয়ে ততটা আলোচনা হয়নি, যতটা প্রশংসা পেয়েছে তাঁর শৈশবের বিজ্ঞাপন ও সিনেমাগুলো। তবে এ নিয়ে হতাশ নন তিনি। জানেন, আগামী দিনগুলোয় দর্শক ঠিকই তাঁকে নতুনভাবে আবিষ্কার করবেন। কারণ, এখন অভিনয় জগতের প্রতিটি ধাপে তিনি পা ফেলছেন বুঝেশুনে। গল্প, চরিত্র, নির্মাতা– সবকিছুই যাচাই করে ক্যামেরার সামনে নিজেকে দাঁড় করাতে চাইছেন। তাই যখনই নির্মাতা গিয়াস উদ্দিন সেলিমের ‘গাঁইয়া’ ওয়েব সিনেমায় অভিনয়ের প্রস্তাব পেয়েছেন, তখন এক মুহূর্তও দেরি করেননি।
নায়িকা দীঘির কথায়, ‘গিয়াস উদ্দিন সেলিমের মতো বড় মাপের নির্মাতার সঙ্গে কাজ করা মানেই কিছু না কিছু শেখার সুযোগ পাওয়া। যে সুযোগ কখনও হাতছাড়া করতে চাইনি। প্রস্তাব পেয়েই লুফে নিয়েছি। তাঁর নির্দেশ মেনে চেষ্টা করেছি মনপ্রাণ উজাড় করে কাজ করে যাওয়ার। অভিনীত চরিত্রটিও চ্যালেঞ্জিং ছিল, তবু সব ভয়-সংকোচ কাটিয়ে অভিনয় করে গেছি। একইভাবে জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলনের উপন্যাসের চরিত্র পর্দায় তুলে ধরেছি ‘শ্রাবণ জোৎস্নায়’ ছবিতে। আবদুস সামাদ খোকন পরিচালিত এ ছবিতেও দর্শক আমাকে ভিন্নরূপে দেখতে পাবেন। আমি মনে করি, এ দুটি ছবি দিয়ে সামনের দিকে আরও একধাপ এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পাব।’
দীঘির এ কথা থেকে বোঝা গেল, শিশুশিল্পীর খোলনলচে থেকে বেরিয়ে এলেও নিজস্ব ভাবনা নিয়ে কাজের সুযোগ পেতে খানিকটা সময় লেগেছে তাঁর। এই সময়ে এসে তিনি নতুন ও ভিন্ন ধাঁচের গল্পে ধারাবাহিকভাবে কাজ করে যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। সে কাজগুলো আসলেই দর্শক প্রত্যাশা পূরণ করবে কিনা– তা জানতেও খুব একটা অপেক্ষায় থাকতে হবে না। কারণ, আজ ওটিটি প্ল্যাটফর্ম বঙ্গে মুক্তি পাচ্ছে তাঁর ওয়েব সিনেমা ‘গাঁইয়া’। এ ছাড়া আগামীকাল দর্শক দেখতে পাবেন ‘শ্রাবণ জোৎস্নায়’ সিনেমাটি।