Homeসব খবরবিনোদনমুরাদকে পাগল মনে হয়েছিল কাজী হায়াতের

মুরাদকে পাগল মনে হয়েছিল কাজী হায়াতের

বিভিন্ন টকশো ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে বিতর্কিত ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যের কারণে অবশেষে তথ্য প্রতিমন্ত্রীর পদ হারিয়েছেন ডা. মুরাদ হাসান। সবশেষ চিত্রনায়িকার মাহিয়া মাহির সঙ্গে তার ‘অশ্লীল’ কথোপকথনের একটি অডিও ফাঁস হয়। আর যেটি নিয়ে দেশজুড়ে চলে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা। সেই অডিও’র জেরে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন ডা. মুরাদ হাসান।

এর আগে, চিত্রনায়িকা মৌসুমীর শারীরিক গঠন ও ঢালিউডের শীর্ষ নায়ক শাকিব খানের অভিনয় নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেছিলেন এই মুরাদ। এসব নজরে আসে বরেণ্য চলচ্চিত্র নির্মাতা কাজী হায়াতের। ডা. মুরাদের এই অশ্লীল কর্মকাণ্ডের বিষয়ে কাজী হায়াত জানান, কোনো এক অনুষ্ঠানে ডা. মুরাদের মন্ত্রী বক্তৃতা শুনে হতবাক হয়েছিলেন তিনি। কেন একজন মন্ত্রী শাকিব খানের মতো একজন শিল্পীকে নিয়ে এ ধরনের মন্তব্য করবেন। শাকিব খান কি তার প্রতিপক্ষ! হঠাৎ করে শাকিবকে নিয়ে মন্ত্রীর এ রকম মন্তব্য, এক ধরনের পাগলামি।

গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কাজী হায়াৎ আরও বলেন, ‘আমার পরিচালিত “বীর” সিনেমার মুক্তি উপলক্ষে ঢাকা ক্লাবের একটি অনুষ্ঠানে মুরাদ হাসান এসেছিলেন। সে অনুষ্ঠানে আলমগীর, ফারুকও ছিলেন। সেই অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিয়েছিলেন এই মন্ত্রী। সেদিন তার বক্তব্য শুনে আমি হতবাক ও নির্বাক হয়েছিলাম। একজন মন্ত্রী এভাবে বক্তৃতা করেন! তিনি চলে যাওয়ার পর আমি কয়েক জনকেই বলেছিলাম, এই লোকটাকে পাগল মনে হলো। প্রথম দিনের বক্তব্য শুনেই এমন মন্তব্য করেছিলাম।’

প্রিয়দর্শিনী’খ্যাত চিত্রনায়িকা মৌসুমীর শারীরিক গঠন নিয়েও মুরাদ কটূক্তি করেছিলেন অন্য একটি অনুষ্ঠানে। এ বিষয়ে গুণী এই নির্মাতা বলেন, ‘ইট ইজ ওয়ান কাইন্ড অব অ্যাবিউজড। এটা মানসিক নির্যাতন করার শামিল। সেক্সুয়ালি হ্যারেসমেন্ট যেমন অপরাধ, এটিও একটা অপরাধ। এটা পাগলামিও বটে। আমি যদি রাস্তা দিয়ে যাওয়া একটা মেয়েকে বলি আপনি এত মোটা কেন? একজন মানুষের স্বাভাবিক মানসিক প্রক্রিয়ায় এমন কথা ভীষণভাবে আঘাত করে। ওয়ান কাইন্ড অব অ্যাবিউজের পাশাপাশি এটিও ওয়ান কাইন্ড অব পাগলামি।’

সবশেষে কাজী হায়াৎ আক্ষেপের সুরে বলেন, ‘একজন মন্ত্রী একজন নায়িকাকে নিয়ে এভাবে বলতে পারেন! আমার মেয়ে আজ খাবার টেবিলে বলছিল, “আব্বা, চলচ্চিত্রের নায়িকারা এত অসহায়- ইদানীং টের পাচ্ছি। প্রভাবশালীরা কতটা প্রভাব খাটাতে চান তাদের ওপর। এটা এখন বুঝছি।” অবক্ষয় হয়েছে সর্বস্তরের মানুষের। তবে আমি সমগ্র রাজনীতিবিদদের দোষারোপ করব না, এটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা মনে করতে চাই। একজনের চরিত্র খারাপ বলে সব রাজনীতিবিদ তাই হবে, এমনটা ভাবছি না। তবে রাজনীতিবিদদের উচিত এমন রাজনীতিবিদদের প্রশ্রয় না দেওয়া। তাহলে তাদের ঘাড়েও দোষটা চাপে।’-আমাদের সময়।

Advertisement