মুস্তাকিম সারাবছর বিভিন্ন ধরনের সবজির চাষাবাদ করে থাকেন। এরমধ্যে টমেটো, শসা, ক্যাপসিকাম বেগুন, তরমুজ, সাম্মামও রয়েছে। তবে তিনি এইসব চাষ করার পরও নতুন কিছু চাষ করতে সব সময় আগ্রহী হয়ে থাকেন। তাই এবছর তিনি মিষ্টিকুমড়া চাষ করে সফলতা পেয়েছেন। মিষ্টি কুমড়া চাষে তিনি বাম্পার ফলন পেয়েছেন।
কৃষক মুস্তাকিম সরকার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার মোগড়া ইউপির ধাতুরপহেলা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি এবছর প্রথমবারের মতো বাণিজ্যিকভাবে মিষ্টি কুমড়ার চাষ করে ব্যাপক ফলন পেয়েছেন। তিনি আদমপুর গ্রামে বিশাল এলাকা নিয়ে দোয়া বহুমুখী কৃষি খামার নামে একটি কৃষি খামার গড়ে তোলেন। সেখানে তিনি শসা, টমেটো, বেগুন, ক্যাপসিকাম, তরমুজ, বাউকুল বরই, সাম্মামসহ নানা জাতের ফল ও সবজি বাণিজ্যিকভাবে চাষ করছেন। স্থানীয় পর্যায়ে খুচরা ও পাইকারি বিক্রি করছেন। মিষ্টি কুমড়া চাষে লাভবান হওয়া যায় বলে অনেক কৃষকরা এর চাষে ঝুঁকছেন। চলতি বছর তাতে মিষ্টি কুমড়া যোগ করেন। এবং প্রায় ৪০ টনের ওপরে কুমড়া উৎপাদন করেন।
তিনি একটি টিনশেড ঘরের ভেতরে ছোট বড় মিষ্টি কুমড়া গুলো স্তূপ করে রেখেছেন। তার উৎপাদিত একেকটি মিষ্টি কুমড়ার ওজন প্রায় ২-৫ কেজি। আর মোট ৪০ টনের বেশি। পাইকরার সরাসরি তার কাছ থেকে কুমড়া সংগ্রহ করে নিয়ে যাচ্ছে। এখান থেকেই তিনি তা বিক্রি করছেন।
কৃষক মুস্তাকিম সরকার বলেন, আমি সারাবছর বিভিন্ন সবজি ও ফলের চাষ করে থাকি। এবছর ১০ বিঘা জমিতে উচ্চ ফলনশীল হাইব্রিড জাতের মিষ্টি কুমড়ার আবাদ করেছি। এতে সব মিলে বিঘাপ্রতি ১৩ হাজার করে খরচ হয়েছে। চারা রোপনের ৩ মাসের মধ্যেই জমি থেকে মিষ্টি কুমড়া তুলে বিক্রি করতে পেরেছি। জমিতে ৪০ টনের ওপরে ফলন পেয়েছি। আশা করছি প্রতি টন মিষ্টি কুমড়া ২০-২২ হাজার টাকায় বিক্রি করতে পারবো।
স্থানীয় অন্য কৃষকরা জানায়, চাষাবাদে তার এমন সফলতা এলাকার বেকার যুবকদের উৎসাহিত করছে। তিনি নিজেকে একজন আদর্শ চাষি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। আশা করছি তিনি আরো এগিয়ে যাবেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহানা বেগম বলেন, কৃষক মুস্তাকিম এবছর প্রথমবারের মতো মিষ্টি কুমড়ার চাষ করেছেন। আশা করছি বর্তমান বাজারদর ভালো থাকলে তার উৎপাদিত মিষ্টি কুমড়া বিক্রি করে লাভবান হতে পারবেন। তিনি অন্যান্য আরো সবজি ও ফল চাষ করে নিজেকে একজন আদর্শ কৃষক হিসেবে গড়ে তুলেছেন।