Homeসব খবরক্রিকেটমিরপুর উইকেট ব্যাটারদের জন্য কষ্টদায়ক

মিরপুর উইকেট ব্যাটারদের জন্য কষ্টদায়ক

মিরপুর উইকেট যেন ব্যাটসম্যানদের জন্য কষ্টদায়ক। শেরে বাংলার উইকেট ডিমেরিট পাওয়ার পরেও চরিত্র বদলায়নি। স্লো আর লো বাউন্সের ফায়দা নিয়ে বড় দলকে হারিয়েও তাই পুরো কৃতিত্ব পায়না টাইগাররা। সে কারণেই স্পোর্টিং উইকেট তৈরিতে মনোযোগ দেয়া উচিত বলে মনে করেন বিসিবির সাবেক কিউরেটর বদিউল আলম খোকন। যদি পাকিস্তানের বিপক্ষে ঢাকা টেস্টেও উইকেট থাকতে পারে আগের মতোই।

বিশ্বকাপের আগে ব্যাক টু ব্যাক টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়। এরপর বিশ্বকাপে ভরাডুবি। ফিরে এসে আবার পাকিস্তানের কাছে হোয়াইটওয়াশ। এদিকে জয়ের তাড়নায় স্লো উইকেট নির্ভরতা বারবারই হয়েছে আত্মঘাতী। সামনে এখন টেস্ট ম্যাচ। চট্টগ্রামে প্রথম টেস্টের উইকেট পেয়েছে প্রশংসা। বাংলাদেশ হারলেও পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ পেয়েছে।

কিন্তু উৎসবের জোয়ারে ভাসতে আন্তর্জাতিক মানদন্ডের বিসর্জন মিরপুরের নিয়মিত ঘটনা। সিরিজে পিছিয়ে পড়া আর সাকিবের দলে ফেরা মিলিয়ে এবারো মিরপুরের উইকেট থাকবে স্পিনারদের পক্ষে, এ নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। স্পিনার সহয়তা পেলে সমস্যা নেই, সমস্যা তো লো বাউন্স নিয়ে। ভাল উইকেটের প্রত্যাশা সাবেক এই কিউরেটরের।

বিসিবি সাবেক কিউরেটর বদিউল আলম খোকন জানান, সময় তো ছিল উইকেট ভালো করার। টি-টোয়েন্টি থেকে ১৫ দিন সময় পেয়েছে। চেষ্টা করলে ভালো উইকেট হতে পারে। টেস্ট ক্রিকেট এমন একটা জিনিস যেখানে প্রতিটা সেশনে উইকেটের আচরণ বদলাবে। এটাই টেস্ট ক্রিকেট। চট্টগ্রামে যেটার কিছুটা দেখা মিলেছে।

ঢাকা টেস্টে মিরাজ-তাইজুলের নেতৃত্বে সাকিব থাকলে, ম্যানেজমেন্ট স্পিনিং ট্র্যাকে ঝুকবে অনুমেয়। কিন্তু এই স্লো-লো উইকেটের পরের সিরিজটাই আবার নিউজিল্যান্ডের বাউন্সি উইকেটে। তাসকিন ফেরায় উইকেট বানানোর ক্ষেত্রে পেস সহায়ক একটা উইকেট বানানোর চিন্তা করতে পারে ম্যানেজমেন্ট। তবে স্পিন নির্ভর ক্রিকেট খেলছে বাংলাদেশ অনেকদিন। ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দেয় স্পিনাররা। সাকিব আসলে সাথে তাইজুল। তাই স্পিনিং উইকেটের অ্যাডভান্টেজ নিবে স্বাভাবিক বলেও জানান তিনি।

হোম অ্যাডভান্টেজ নেয়া যথার্থ, তবে সাফল্যের খোঁজে বিসিবি হয়তো ঝুকিতে ফেলে দিচ্ছে ব্যাটসম্যানদের ক্যারিয়ার। এদিকে পুনর্গঠন প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে টাইগার ক্রিকেট, অভিজ্ঞতায় এখনকার টেস্ট দল ঢের পিছিয়ে। সেখানে সাকিবের উপস্থিতি বড্ড জরুরি। চোট অস্বস্তি কাটিয়ে ফিরছেন টাইগার নাম্বার ওয়ান। তিনি থাকা মানেই দলের সাহস বাড়ে, কম্বিনেশন সাজানো সহজ হয়ে যায়।

চোট থেকে সেরে লঙ্গার ভার্সনে নামা মোটেও সহজ নয়। ঢাকা টেস্টে তাই সাকিবের সেরাটা নিয়ে সংশয় থাকতেই পারে। তবে, চ্যাম্পিয়ন ক্রিকেটাররা যে কোন চ্যালেঞ্জ জিততে জানে, বাংলাদেশও তাই সাকিবের দিকে তাকিয়ে। পাকিস্তানের কাছে হোয়াইটওয়াশ ঠেকাতে, ব্যাটে-বলে সাকিবের জ্বলে ওঠা জরুরি। হোম অফ ক্রিকেটের কন্ডিশন, তাকে এগিয়ে রাখবে নিঃসন্দেহে।

Advertisement