Homeঅন্যান্যমাচায় অসময়ে তরমুজ চাষে আগ্রহ বাড়ছে

মাচায় অসময়ে তরমুজ চাষে আগ্রহ বাড়ছে

আধুনিক প্রযুক্তি সম্প্রসারণের মাধ্যমে কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় প্রথবারের মতো গত বছর ভোলাহাটে প্রদর্শনী আকারে দুই বিঘা জমিতে তরমুজ চাষ করা হয়। সেখানে মাত্র ৩০ হাজার টাকা খরচ করে এক লাখ টাকার বেশি লাভ পেয়েছিলেন কৃষক। ফলে এ বছর এর আবাদ ছড়িয়ে পড়েছে পুরো উপজেলায়। চলতি বছর পাঁচ একরেরও বেশি জমিতে আবাদ হয়েছে গ্রীষ্মকালীন তরমুজের।

প্রচন্ড গরমে তীব্র পিপাসায় সবার চাই এক গ্লাস ঠাণ্ডা পানি। আর এ সময় যদি হাতে পাই এক টুকরো তরমুজ তাহলে আর কী লাগে! সবার পছন্দের সেই তরমুজ যদি সারা বছর পাওয়া যায় তাহলে তো আর কথাই নেই। চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলায় দিন দিন বাড়ছে অসময়ের ফল গ্রীষ্মকালীন তরমুজের চাষ।

তরমুজ চাষি আমিরুল ইসলাম বলেন, আমি একজন সবজি চাষি; কিন্তু গত বছর জোর করে এক বিঘা জমিতে গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষ করায় উপজেলা কৃষি অফিস। এ সময় জমি থেকে খরচ বাদে এক লাখ টাকার বেশি আয় করেছি। গত বছরের একই জমিতে একই মাচায় দ্বিতীয়বার তরমুজ চাষ করি এবং সেখানেও অনেক লাভ হয়। ফলে এবার আমি দুই বিঘা জমিতে এই তরমুজ চাষ করেছি। এখন পর্যন্ত ফল ভালো আসছে। আশা করছি এবারো ভালো লাভবান হতে পারব।

চাষি আনসারুল ইসলাম বলেন, এ তরমুজ মাত্র ৬০ দিনে বিক্রির উপযুক্ত হয়ে যায়। এত অল্প সময়ে অন্য কোনো ফসলে এত বেশি লাভ হয় না। ফলে আমি এবার এক বিঘা জমিতে তরমুজ চাষ করেছি। সামনের বছর আরো বেশি পরিমাণে চাষ করব। কৃষক আশরাফুল বলেন, আমি অল্প খরচে ব্যাপক লাভবান হতে দেখে তিন বিঘা জমিতে এই তরমুজ চাষ করেছি। অনেক ফল এসেছে। ফলের ভারে মাচা ভেঙে পড়ছে।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুলতান আলী জানান, গত বছর মাত্র দুই বিঘা জমিতে তরমুজ চাষ হয়েছিল। এবার পাঁচ একরে চাষ হয়েছে। আগামী বছর আরো বৃদ্ধি পাবে। গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষ অত্যন্ত লাভজনক। অসময়ে তরমুজের দামও ভালো পাওয়া যায়। পাইকার জমিতে এসে তরমুজ নিয়ে যায়। ফলে তরমুজ বাজারজাত নিয়ে কৃষককে চিন্তা করতে হয় না। অল্পসময়ে ফসল হয় বিধায় একই জমিতে একই খরচে দুইবার তরমুজ চাষ করা যায়।

Advertisement