Homeসব খবরজেলার খবরবাহারি তরমুজে কৃষকের হাসি

বাহারি তরমুজে কৃষকের হাসি

মাচায় দুলছে বাহারি রংয়ের তরমুজ। সেই সঙ্গে দোল খাচ্ছে তরমুজ চাষির স্বপ্ন। জয়পুরহাটের সদর ও আক্কেলপুর উপজেলায় দিন দিন বাড়ছে মালচিং পদ্ধতিতে গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষ। অসময়ে চাষ করা ইয়োলো বার্ড, ব্লাক বেবি, অনুভব, মধুমালা, সূর্য ডিম নামের হাইব্রীড জাতের এসব তরমুজ চাষ করে লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা। জয়পুরহাট সদর উপজেলার উপচক গ্রামে এবং আক্কেলপুর উপজেলার জালালপুর গ্রামে এ তরমুজ চাষে বেশ সাড়া পরেছে।

তরমুজ চাষিরা জানিয়েছে বছরে মার্চ থেকে অক্টোবর পর্যন্ত তিনবার চাষ করা যায় অসময়ের এ তরমুজ। প্রথম বার চাষে খরচ একটু বেশি হলেও পরের দুইবার কম খরচে চাষ করা যায়। তিন বারে পাঁচ লাখ টাকার মতো তরমুজ বিক্রি করার কথা জানান চাষিরা।

তরমুজ চাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) আর্থিক সহায়তায় জয়পুরহাট রুরাল ডেভেলপমেন্ট মুভমেন্ট (জেআরডিএম)- এর কারিগরী সহযোগিতায় অসময়ের এ গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষ করছেন স্থানীয় কৃষকরা।

সদর উপজেলার উপচক গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, মাচায় দুলছে শত শত বাহারি রংয়ের তরমুজ। কোনোটি উপরে সবুজ তো ভিতর লাল- হলুদ, আবার কোনোটি উপরে হলুদ আবার ভিতরে লাল। এক একটি তরমুজের গড় ওজন প্রায় আড়াই থেকে ৪ কেজি পর্যন্ত। মাঠে কাজ করছিলেন মজনু মিয়া নামের কৃষক, বলেন- অসময়েও যে এই তরমুজের আবাদ হয় এটা তার জানাই ছিল না, তবে জেআরডিএম- এর কারিগরী সহায়তায় প্রথম বার চাষ করেছেন আর ফল ধরেছে অনেক, ভালো দাম পাবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

আক্কেলপুর উপজেলার জালালপুর গ্রামের কৃষক মোঃ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, এ তরমুজ আগে কখনো চাষ করিনি, তবে এ বছর প্রথমবার ১৫ শতাংশ জমিতে চাষ করেছি। যে ফল ধরেছে তাতে ভালো লাভ হবে এমন আশা প্রকাশসহ পরবর্তীতে আরো বেশি জমিতে চাষ করবেন বলেও জানান তিনি। এ দুই উপজেলায় এ বছর প্রায় ১৫ হেক্টর জমিতে অসময়ের এ গ্রীষ্মকালীন তরমুজের চাষাবাদ হচ্ছে বলে জানা গেছে।

জেআরডিএম, কৃষি কর্মকর্তা, কৃষিবিদ মোঃ আহসান হাবিব বলেন, জয়পুরহাটে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পাশাপাশি আমরাও নতুন প্রযুক্তি ও ফসল চাষ সম্প্রসারণে কৃষককে প্রশিক্ষণ প্রদানসহ উপকরণ সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। যাতে করে কৃষকের আয় বর্ধনে সহায়ক হয়।

জয়পুরহাট সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রাফসিয়া জাহান জানান, মালচিং পদ্ধতিতে গ্রীষ্মকালীন এ তরমুজ চাষে ব্যবহৃত হচ্ছে বিভিন্ন রংয়ের ফাঁদ, সেক্স ফেরোমন ট্যাব ও জৈব বালাইনাশক। এতে করে একদিকে ফসল হচ্ছে নিরাপদ অন্যদিকে কমছে উৎপাদন খরচ আর কৃষকরা হচ্ছেন আর্থিকভাবে লাভবান।

Advertisement