প্রথম ইনিংসে ৪৯ রানে ৪ উইকেটের পর দ্বিতীয় ইনিংসে উন্নতি তো হয়নি উল্টো অবনতির চেহারাটা ছিল ভয়াবহ। ৪ উইকেট নেই ২৫ রানেই। অর্থাৎ, দুই ইনিংসেই বাংলাদেশকে প্রথম সারির ৪ ব্যাটারকে উপেক্ষা করেই সাজাতে হয়েছে নিজেদের স্কোরকার্ড। এমন ভরাডুবির পরও ম্যাচ শেষ হওয়ার আগের দিন ব্যাটসম্যানদের পক্ষেই কথা বলেছিলেন প্রধান কোচ।
অনভিজ্ঞতার সুর তুলে সময় দিতে বলেছিলেন আরও একটু। টেস্ট হারের কারণ খুঁজতে গিয়ে সাবেক ক্রিকেটাররা অবশ্য বেনিফিট অব ডাউট দেননি টপ অর্ডারকে। তবে, তাদের চোখে বোলারদের দৈন্যতাটাই মূল কারণ হিসেবে সামনে এসেছে বারবার। চতুর্থ ইনিংসে টাইগার বোলারদের লাইন লেংথ এবং নিবেদন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সাবেক অধিনায়ক থেকে স্পিনার সবাই।
সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুল বলেন, বলে বলে ২০ উইকেট নেওয়ার মতো বোলার আমাদের নেই। স্পিনিং উইউকেট পেলে আমরা ভালো করি। কিন্তু ট্রু উইকেটে আমাদের সব কারিশমা শেষ হয়ে যায়। এভাবে হলে টেস্টে ভালো করা সম্ভব না।’
তবে সব দোষ ক্রিকেটারদের দিতে নারাজ বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট জয়ের নায়ক এনামুল হক জুনিয়র। তার চোখে মূল ভিলেন ঘরোয়া ক্রিকেটের উইকেটগুলো। দিনের পর দিন ওমন বাজে উইকেটে বোলিং করার কারণেই স্কিলে উন্নতি আনতে পারছেন না স্পিনাররা।
এনামুল হক জুনিয়র বলেন, বাংলাদেশ ঘরোয়া ক্রিকেটে আমরা যে পিচ-কন্ডিশনে খেলি, সেখানে বল ফেললেই উইকেট পাওয়া যায়। যে কারণে আমাদের বোলারদের আলাদা করে স্কিল নিয়ে কোনো কাজ করতে হয় না। আন্তর্জাতিকে এসে আমরা ভালো পিচ পেলে আর পারি না।
আর জাতীয় লিগে সিলেট বিভাগের পেস বোলিং কোচ এবং সাবেক জাতীয় ক্রিকেটার নাজমুল হোসেনের মতে নখদন্তহীন পেস অ্যাটাক যে কোনো ম্যাচের শুরুতেই ব্যাকফুটে ঠেলে দেয় বাংলাদেশকে। লাল বলে উন্নতি করতে হলে আরও স্মার্ট হওয়ার পরামর্শ তার।
পেস বোলিং কোচ নাজমুল হোসেন বলেন, আমি সবসময় পেসারদের বলি, শুধু বল করার জন্য বল করলে হবে না। একটা পরিকল্পনা থাকা লাগবে। কোন ব্যাটসম্যান কি করতে চাচ্ছে, সেটা বুঝে বল করতে হবে। টেস্টে ভালো করতে হলে স্মার্ট হতে হবে।