Homeঅন্যান্যফের আসছে প্রাথমিকের স্কুল ফিডিং

ফের আসছে প্রাথমিকের স্কুল ফিডিং

আড়াই বছর আগে স্কুল ফিডিং কর্মসূচির আওতায় প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের মিড ডে মিল হিসেবে খিচুড়ি দেওয়ার প্রকল্প হাতে নেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে ঐ প্রকল্পে শিশুদের রান্না খাবারের ব্যবস্থাপনা দেখতে কর্মকর্তাদের বিদেশে পাঠানোর কারণে বিষয়টি ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দেয়। শেষ পর্যন্ত প্রকল্পটি বাতিল হয়।

ফের নতুনভাবে প্রণয়ন করা হয়েছে তেমনই প্রকল্প। দেশের ১৫০টি উপজেলার সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ‘স্কুল ফিডিং প্রোগ্রাম’ চালুর হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। বৃহস্পতিবার (৬ জুন) বিকেল ৩টায় জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপনকালে এ তথ্য জানান তিনি।

অর্থমন্ত্রী জানান, প্রাথমিক শিক্ষার স্তরে শিশুদের ঝরে পড়া রোধ করতে শতভাগ শিক্ষার্থীকে ইএফটির মাধ্যমে উপবৃত্তি প্রদান করা হচ্ছে। ‘দারিদ্র্য-পীড়িত এলাকায় স্কুল ফিডিং’ শীর্ষক প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের ১০৪টি উপজেলায় ১৫ হাজার ৪৭০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২৭ লাখের বেশি শিক্ষার্থীর জন্য চলমান স্কুল ফিডিং কার্যক্রম সম্প্রতি শেষ হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় দেশের ১৫০টি উপজেলার সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ‘স্কুল ফিডিং প্রোগ্রাম’ চালুর লক্ষ্যে একটি প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে।

তিনি আরো জানান, সরকারের সুচিন্তিত নীতির ফলে প্রাথমিক শিক্ষায় নিট ভর্তির হার ২০০৯ সালের ৯০ দশমিক ৮ শতাংশ থেকে বেড়ে ২০২২ সালে ৯৭ দশমিক ৫৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। ২০০৯ সালে প্রাথমিক শিক্ষায় ঝরে পড়ার হার ছিল ৪৫ দশমিক ১ শতাংশ, যা ২০২২ সালে ১৩ দশমিক ৯৫ শতাংশে নেমে এসেছে।

আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, প্রাথমিক স্তরে নিয়মিত শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুসহ সমাজের সব শিশুর মূলধারার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে লেখাপড়া নিশ্চিতকল্পে একীভূত শিক্ষা কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। তা ছাড়া বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের জন্য হুইলচেয়ার, ক্রাচ, শ্রবণযন্ত্র ইত্যাদি ক্রয় ও বিতরণ করা হচ্ছে এবং প্রতিবন্ধকতা উত্তরণ সহায়ক উপকরণ ক্রয় ও বিতরণের জন্য প্রতিটি উপজেলায় চাহিদার ভিত্তিতে অর্থ বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের শ্রেণিকক্ষে প্রবেশের সুবিধার্থে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোয় র‍্যাম্প নির্মাণ করা হচ্ছে।

Advertisement