Homeসব খবরজেলার খবরধানি জমিতে বাঙ্গির সুঘ্রাণ

ধানি জমিতে বাঙ্গির সুঘ্রাণ

বোয়ালখালী উপজেলার ধানি জমিতে এখন সুঘ্রাণ ছড়াচ্ছে বাঙ্গি। দক্ষিণ কড়লডেঙ্গাসহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের প্রায় ২৫ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে চীনা ও স্থানীয় জাতের বাঙ্গি। উপজেলার কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ধানি জমিতে হলুদ রঙের ফুলে ছেয়ে আছে বাঙ্গি ক্ষেত। সবুজ লতা-পাতার মাঝে হলুদ ও সবুজ রঙের বাঙ্গি।

কৃষকরা জানান, আমন ধান ঘরে তোলার পরপরই জমিতে বাঙ্গির বীজ রোপণ করা হয়েছিল। চৈত্র মাসে পরিপক্ক বাঙ্গি বিক্রি শুরু করেছেন কৃষক। প্রতিটি বাঙ্গি আকার ভেদে ৭০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে বাজারে। উপজেলার দক্ষিণ কড়লডেঙ্গার চম্পা তালুকদার পাড়ার কৃষক আলী ওসমান ধানী জমিতে করেছেন বাঙ্গি চাষ। তার ক্ষেত এখন পাকা বাঙ্গিতে ভরপুর। ফলন ভালো হওয়ায় তার মুখে ফুটেছে হাসি। এই গরমে বাজারে বাঙ্গির চাহিদা রয়েছে প্রচুর। ফলে ভালো দামও পাচ্ছেন তিনি।

আলী ওসমান জানান, উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শে বাঙ্গি চাষ করেছেন তিনি। সার্বিক সহযোগিতা পাওয়ায় বাঙ্গি চাষে লাভবান হচ্ছেন। শিক্ষক মো. ফারুক ইসলাম বলেন, বাঙ্গি সুস্বাদু ও পুষ্টিকর ফল। গ্রীষ্মে এই ফল শরীরের ক্লান্তি দূর করতে চমৎকার ভূমিকা রাখে। বোয়ালখালীতে উৎপাদিত বাঙ্গি সুঘ্রাণ ও স্বাদে অনন্য। অনেকেই বাঙ্গি উপহার হিসেবে আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে পাঠাবেন। তাই ক্ষেত থেকে কিনে নিচ্ছেন।

আবহমান কাল ধরে আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে তরমুজ-বাঙ্গি উপহার পাঠানোর রীতি প্রচলিত রয়েছে চট্টগ্রামে। স্থানীয় বাসিন্দা আবু তাহের বলেন, পরিবারের সদস্যরা তরমুজ-বাঙ্গি খুব পছন্দ করে। গরমে এসব ফলের জুস খেতে ভালোবাসে মেয়ে। শুধু কি নিজেরাই খাবো, কিছুটা আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে পাঠানো হবে। তাই ক্ষেত থেকে তরমুজ-বাঙ্গি কিনছি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. আতিক উল্লাহ বলেন, অল্প খরচে অধিক লাভ হওয়ায় প্রতি বছরই বাড়ছে বাঙ্গির আবাদ। বোয়ালখালীতে এবার বাঙ্গির চাষ হয়েছে ২৫ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে চীনা জাতের বাঙ্গি চাষ হয়েছে ৫ হেক্টর ও স্থানীয় জাতের বাঙ্গি চাষ হয়েছে ২০ হেক্টর জমিতে। ভালো ফলন হওয়ায় যা থেকে উৎপাদন হবে গড়ে বিশ থেকে বাইশ মেট্রিক টন বাঙ্গি। বাঙ্গির আবাদ বৃদ্ধিতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কৃষকদের প্রশিক্ষণ, পরামর্শ ও সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন এ কৃষিবিদ।

Advertisement