Homeঅন্যান্যদেশে হাঁসের বাজার ৩ হাজার ৩০০ কোটি টাকা

দেশে হাঁসের বাজার ৩ হাজার ৩০০ কোটি টাকা

শীতের এই সময়টায় হাঁসের মাংস বিক্রি হয় বেশ। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে চাহিদা মেটাতে থাকে নানা আয়োজন। মৌসুমি লোভনীয় এই খাবারের ব্যবসা ও বাজার ক্রমশই বড় হচ্ছে। এতে আয়ের পথ খুঁজে পাচ্ছে বহু পরিবার।

যাপিত জীবনে শীতের আগমনে ধুম পড়ে সৌখিন উদযাপনের। বিশেষ করে চলে হাঁসের মাংসের ভোজ। ফলে এর চাহিদাও বাড়ছে দিনকে দিন। আর তা কাজে লাগিয়ে উপার্জনের উৎস খুঁজে নিয়েছেন অনেকেই। যেমন-পূর্বাচলের বাবুল মোল্লা। স্ত্রীকে নিয়ে ৬ বছরের বেশি সময় ধরে চালাচ্ছেন একটি দোকান। শীতের শুরু থেকে দৈনিক ১৫ থেকে ২০টি হাঁসের মাংস বিক্রি হচ্ছে এখানে। প্রতি প্লেটের দাম ২৫০ টাকা।

বাবুল বলেন, গ্রাম থেকে হাঁস আসে। পাইকারে দিয়ে যায়। পরে পরিষ্কার করে রাত ৩টা থেকে রান্না শুরু করি। বাবুলের স্ত্রী বলেন, বিকেল ৪টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত বিক্রি করি। হাঁসের মাংসের সঙ্গে চাপটি, চিতই পিঠাও বিকোচ্ছে।

রাজধানীর অদূরে পূর্বাচলের বালু নদীরপাড়ে শতাধিক পরিবার আয় করছেন রান্না করা হাঁসের মাংস বিক্রি করে। যার স্বাদ নিতে বন্ধু-স্বজন নিয়ে দূর-দূরান্ত থেকে আসছে বহু মানুষ। এক ক্রেতা বলেন, শীতে হাঁসের মাংস একটু ঝাল করে রান্না করলে অন্যরকম স্বাদ লাগে।

আরেকজন বলেন, বাসা আর এখানকার রান্নার মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। এজন্য ছুটির দিনে সবাই মিলে উপভোগ করতে আসি। এক বিক্রেতা বলেন, আশপাশের লোকজন এখানে আসে। ঢাকা শহরের প্রায় লোক আসে। আগে তারা এখানে ঘোরাফেরা করে। আড্ডা দেয়, পরে খায়।

চাহিদার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে হাঁসের সরবরাহ বাড়ছে ঢাকার বাজারগুলোতে। মানভেদে একেকটি পাতিহাঁস বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৭০০ টাকা পর্যন্ত। আর চীনা ও রাজহাঁসের দাম হাজার টাকার ওপরে। এক বিক্রেতা বলেন, শীত এলে বাঙালিদের মধ্যে হাঁস খাওয়ার হিড়িক পড়ে। যে কারণে চাহিদা বেশি থাকে। এতে দামও বেশি। অপর বিক্রেতা বলেন, এখন শীতকাল, তাই বেচাকেনা বেশি। ভালো চলছে সবকিছু।

সরকারি হিসাবে, গেল ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দেশে হাঁসের উৎপাদন ছিল ৬ কোটি ৬০ লাখ পিস। একেকটির দাম গড়ে ৫০০ টাকা দরে হিসাব করলে হাঁসের বাজার দাঁড়ায় ৩ হাজার ৩০০ কোটি টাকা।

সূত্র: চ্যানেল২৪।

Advertisement