Homeঅন্যান্যদেশজুড়ে ছড়িয়েছে মাগুরার দইয়ের সুখ্যাতি

দেশজুড়ে ছড়িয়েছে মাগুরার দইয়ের সুখ্যাতি

দইকে বলা হয়ে থাকে পুষ্টির ভাণ্ডার। এতে ক্যালসিয়াম, প্রোটিন, ভিটামিন বি ১২, বি ২, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়ামের মতো প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান রয়েছে। এই পুষ্টিগুলো সামগ্রিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে ভূমিকা রাখে। দই বা দধি নামে পরিচিত দুগ্ধজাত এই খাবারটি মাগুরায় ব্যাপকভাবে জনপ্রিয়।

ছোট-বড় সব মানুষের কাছেই দইয়ের কদর সবচেয়ে বেশি। ভোজনবিলাসী মানুষের পাশাপাশি বিবাহ, ঈদ, পূজা, ধর্মীয় নানা অনুষ্ঠান এবং অতিথি আপ্যায়ন থেকে শুরু করে কারো বাসায় বেড়াতে গেলে খামারপাড়ার দই ও পলাশ ঘোষের দই থাকে সবার পছন্দের তালিকায়।

রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশেই ব্যাপক চাহিদা রয়েছে মাগুরার দইয়ের। বিয়েসহ যেকোনো অনুষ্ঠান ও অতিথি আপ্যায়নে ঐতিহ্যবাহী খামারপাড়ার ও পলাশ ঘোষের দই একটি অনন্য খাদ্য উপকরণ হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে। প্রায় শত বছর ধরে এই দইয়ের জনপ্রিয়তার মূল কারণ হচ্ছে খাঁটি দুধ ও অন্যান্য উপকরণের যথাযথ সংমিশ্রন। খামারপাড়ার অশ্বিনী ঘোষের বাবা বীরেন্দ্রনাথ ঘোষ গত শতকের প্রথমদিকে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে শ্রীপুর উপজেলার খামার পাড়া এলাকায় এই দই উৎপাদন শুরু করেন। বর্তমানে অশ্বিনী ঘোষ ও তার ছেলে অসিত ঘোষ। তিন পুরুষ ধরে তাদের পৈত্রিক পেশা আঁকড়ে ধরে আছেন।

শহরের জামরুল তলা এলাকার দীর্ঘদিনের দই ব্যবসায়ী বাগাট দধি এন্ড মিষ্টান্ন ভান্ডারের পলাশ ঘোষের দইয়ের বেশ সুখ্যাতি আছে গোটা জেলা এবং আশপাশের জেলাগুলোতে।

পলাশ ঘোষ বলেন, মাগুরার দই, মিষ্টি, ঘি, মাখনের সুখ্যাতি দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে বিদেশেও ছড়িয়ে পড়েছে। প্রধানমন্ত্রী মাগুরায় যখন এসেছিলেন তখন তিনি আমাদের দই খেয়ে প্রংশসা করেছিলেন। বিবাহ থেকে শুরু করে নানা ধর্মীয় অনুষ্ঠান ও উৎসবে দই বেশি বিক্রি হয়ে থাকে। এর পাশাপাশি এখন টক (চিনি ছাড়া) দইয়ের চাহিদাও অনেক বেড়েছে।

শ্রীপুর খামারপাড়ার দই কারিগর অশ্বিনী ঘোষ বলেন, মাগুরার দইয়ের সুখ্যাতি ঢাকা, খুলনা, যশোর, ফরিদপুরসহ সারাদেশেই ছড়িয়ে পড়েছে। উন্নতমানের খাঁটি দুধের এই দই খেতে খুবই সুস্বাধু। কিন্তু দুধ চিনির দাম বৃদ্ধি পাওয়াই এখন লাভ হয় না বললেই চলে, পাশাপাশি কেনাবেচাও কমে গেছে। বর্তমানে প্রতিকেজি দইয়ের উৎপাদন খরচ পড়ছে প্রায় ১৬০ টাকা। বিক্রি হচ্ছে পাইকারি ১৮০ দরে। যার খুচরা মূল্য প্রতি কেজি ২০০ টাকা। তবে ক্ষীরের দই ২২০ টাকা থেকে ২৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করে থাকি।

সূত্র: ডেইলি-বাংলাদেশ

Advertisement