Homeসব খবরবিনোদনদুবাই বুর্জ আল খলিফায় যাদের সাথে ছিলেন পরীমণি

দুবাই বুর্জ আল খলিফায় যাদের সাথে ছিলেন পরীমণি

ব্যবসায়ী তুহিন সিদ্দিকী অমির সঙ্গে সাভারের বোটক্লাবে গিয়েছিলেন নায়িকা পরিমনি। সেখান থেকে যে আলোচনার শুরু, তা এখন ডালাপালা ছড়িয়েছে বহুদূর। শুধু ক্লাবে নয় দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও অমির সঙ্গী হয়েছেন এই নায়িকা। দেশের বাইরে গিয়ে বিভিন্ন প্রভাবশালী ও ধনাঢ্য ব্যবাসায়ীদের সঙ্গী হয়েছেন তিনি। আর এই কাজে মাধ্যম হয়েছেন অমি।

জানা গেছে, গত এপ্রিলে তুহিন সিদ্দিকী অমির সঙ্গে দুবাই যান চিত্রনায়িকা পরীমণি। সেখানে ব্লু ওয়াটার আইল্যান্ড নামে একটি কৃত্রিম দ্বীপে অমির ফ্ল্যাটে থাকেন ১৭ দিন। দ্বীপটি দুবাইয়ের সবচেয়ে দামি জায়গা। সাধারণত সেখানে কোনো বাংলাদেশি ফ্ল্যাট কেনেন না। সেখানে ৪৫ লাখ ইউএই দিরহাম বা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১১ কোটি টাকা দিয়ে ফ্ল্যাট কিনেছিলেন অমি। সেখানেই দুজনের সখ্যতা গাঢ় হয়। দেশে ফিরে অমি পরীমণিকে সাভারের বোট ক্লাবে নিয়ে গিয়েছিলেন। পরবর্তীতে পরীমণির শ্লীলতাহানির চেষ্টার মাম’লার আ’সামিও হন।

সূত্র জানায়, অমি মূলত দেশ থেকে মডেল বা অভিনেত্রীদের নিয়ে দুবাইতে বাংলাদেশি ব্যবসায়ী বা প্রভাবশালীদের মনোরঞ্জনের ব্যবস্থা করতেন। তিনি প্রায়ই এমন প্লেজার ট্যুরের আয়োজন করতেন। ওই সফরে অমির বাসা ছাড়াও অবস্থান করেন দুবাইয়ের সবচেয়ে অভিজাত ‘বুর্জ আল খলিফা’ টাওয়ারের হোটেল আরমানিতে। টানা সাত দিন অভিজাত হোটেলে ‘অ্যাম্বাসেডর স্যুটে’ অবস্থান করেন। এই অ্যাম্বাসেডর স্যুটের ভাড়া হিসেবে একেকটা স্যুটের জন্য প্রতিদিন গুনতেন এক লাখ ৫৮ হাজার টাকা।

গোয়েন্দা সূত্র বলছে, গত ২৩ এপ্রিল থেকে দুবাইয়ের সেই ট্যুরে পরীর সঙ্গে ছিলেন দেশের একটি ব্যাংকের চেয়ারম্যান। পরীমণির ব্যক্তিগত সহকারী আশরাফুল ইসলাম ওরফে দিপু ছিল তাদের সার্বক্ষণিক সঙ্গী। দিপু ওই সফরের আয়োজন করে দিয়েছিলেন। বুর্জ আল খলিফা সফরে পরিমণি নগদ ১৫ লাখ টাকা নিয়েছিলেন বলে গোয়েন্দাদের হাতে তথ্য এসেছে বলে জানা গেছে।

জানা গেছে, প্লেজার ট্যুরে প্রায়ই বিদেশ যেতেন গ্রে’ফতার চিত্রনায়িকা পরীমণি। তার সফরসঙ্গী হতেন দেশের প্রভাবশালী ব্যবসায়ী, ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তা কিংবা ক্ষমতাসীন দলের অনেক নেতা। গোয়েন্দা সূত্র জানায়, যারা চিত্রনায়িকা পরী এবং মডেল মাহবুব ফারিয়া পিয়াসাকে নিয়ে বিভিন্ন সময় প্রমোদ ট্যুরে গিয়েছেন, তাদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। গতকাল পর্যন্ত ১০ জনের ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েছেন গোয়েন্দারা। তাদের ব্যাপারে কঠোর অবস্থানের কথা জানিয়েছেন আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা। প্রভাবশালী এমন অনেকে জিজ্ঞাসাবাদের ভয়ে গা ঢাকা দিয়েছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, পরী সিন্ডিকেট রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় পার্টির নামে যৌ’নতা ও মা’দকের আসর বসাতেন। পার্টির এক পর্যায়ে তারা টার্গেট করা প্রভাবশালী ব্যক্তিদের কাছে পাঠিয়ে দিতেন সুন্দরী রমণীদের। এই সুন্দরীদের নিয়ে আলাদা কক্ষে একান্তে সময় কাটানোর বন্দোবস্ত থাকত। আর অতি গো’পনে এসব দৃশ্য বিশেষ টেকনোজির মাধ্যমে ধারণ করা হতো। পরে সেই ভি’ডিও দেখিয়ে চলত ব্ল্যাকমেলিং। দফায় দফায় হাতিয়ে নেওয়া হতো মোটা অঙ্কের টাকা।

ব্ল্যা’কমেইলের শিকার এসব প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতা, আমলা, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন পেশার শিকারের মাধ্যমে তদবির করে তারা অনেককে পাইয়ে দিত বড় বড় কাজের কন্ট্রাক্ট। সামাজিক মর্যাদার ভয়ে ভুক্তভোগীরা মুখ খোলার সাহস করতেন না। অসহায়ের মতো তাদের আবদারের বাইরে যেতে পারতেন না তারা। পরীর বেশিরভাগ পার্টির আয়োজনের দায়িত্বে থাকতেন নজরুল ইসলাম রাজ এবং তার কথিত মামা দিপু।

সূত্র: ইনকিলাব।

Advertisement