Homeঅন্যান্যতীব্র গরমে কদর বেড়েছে তালের শাঁসের

তীব্র গরমে কদর বেড়েছে তালের শাঁসের

কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে গত কয়েক দিনের চলমান তাপদাহ ও তীব্র গরমে একটু স্বস্তি পেতে ক্রেতা থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের কাছে সুস্বাদু তালের শাঁসের কদর যেমন বেড়েছে, ঠিক তেমনি বিক্রিও হচ্ছে চড়া দামে। এতে খুশি তালের শাঁস বিক্রেতা, ক্রেতা সাধারণ মানুষ। যদিও সহজলভ্য ও মুখরোচক হওয়ায় এ সময় মানুষের পছন্দের তালিকায় থাকে ওই তালের শাঁস।

বিক্রেতারা জানায়, তালের নরম কচি শাঁস খেতে সুস্বাদু হওয়ায় তীব্র তাপদাহের কারণে এ শাঁসের চাহিদা বতমানে দ্বিগুণ বেড়েছে। হোসেনপুর উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন সড়কের মোড়ে মোড়ে বিক্রেতারা এখন তাল শাঁস বিক্রি করছেন। আবার কোনো কোনো বিক্রেতা ভ্যানযোগে পাড়া ও মহল্লায় ঘুরে ঘুরে তালের শাঁস বিক্রি করে লাভবান হচ্ছেন।

সরেজমিনে তথ্য সংগ্রহের সময় উপজেলার নতুন বাজার মোড়ে জিনারী গ্রামের তালের শাঁস বিক্রেতা রমিজ বেপারি জানান, প্রতি বছর এ মাসে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে ঘুরে তাল কেনেন। পরে বিভিন্ন স্থানে তা বিক্রিও করেন এবং তালের শাঁস বিক্রির আয় দিয়েই তিনি সংসার চালান।

তিনি আরো জানান, বৈশাখ থেকে জ্যৈষ্ঠ মাস পর্যন্ত চলবে তালের শাঁস বিক্রি। তবে এবারে গাছের সংখ্যা কমে যাওয়া ও প্রাকৃতিক কারণে ফলনও কম হওয়ায় দাম বেশ বাড়তি। তাই কিছুটা বেশি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে তাদের।

পৌর এলাকার শাঁস বিক্রেতা রফিক জানান, এক একটি তাল গাছ ৬০০ টাকা থেকে হাজার টাকায় সিজন হিসেবে কেনেন। পরে সেই তাল গাছ থেকে সংগ্রহ করে ভ্যানযোগে বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করেন। ভালো ফলন হলে সেইসব গাছের তাল বিক্রি করে দ্বিগুণেরও বেশি লাভ করা যায়।

উপজেলার শাহেদলের শাঁস বিক্রেতা আলি হোসেন জানান, এবার প্রচণ্ড গরম থাকায় তালের শাঁসের চাহিদা রয়েছে অনেক বেশি। প্রতিটি তালের শাঁসের পিস বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকায়। প্রতিদিন গড়ে ২০০০ থেকে ৩০০০ টাকার তাল শাঁস বিক্রি করতে পারছেন।

এছাড় উপজেলার বিভিন্ন স্থানে দেখা গেছে, অনেক ক্রেতা পরিবারের সদস্যদের জন্য ডজন হিসেবে তাল শাঁস কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। ফলে ক্রেতা থেকে শুরু করে স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী, পথচারীরা প্রচণ্ড গরমে একটু স্বস্তি পেতে ভিড় করছেন তাল শাঁস বিক্রেতাদের কাছে।

ক্রেতা অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান, চাকরিজীবী আব্দুল কাদেরসহ অনেকেই জানান, তালের শাঁসের দাম কিছুটা বেশি হলেও এটা মৌসুমি ফল, পুষ্টিকর ও ভেজালমুক্ত। তাই নিজেরা খাওয়ার পাশাপাশি পরিবারের সবার জন্যেও নিয়ে যাচ্ছেন সুমিষ্ট ওই তালের শাঁস।

Advertisement