Homeঅন্যান্যচিতই পিঠা বিক্রি করে সংসার চলে আক্তারার

চিতই পিঠা বিক্রি করে সংসার চলে আক্তারার

বাড়িতে পিঠা বানানোর ঝামেলা এড়াতে অনেকেই পিঠার দোকান থেকে পিঠা কিনে স্বাদ মিটাচ্ছে। তাই পাঁচবিবির বাগজানাসহ আশেপাশের হাটবাজারের রাস্তার মোড়ে মোড়ে জমে উঠেছে বাহারি শীতের পিঠার দোকান। প্রচীন কাল থেকেই গ্রাম বাংলার প্রতিটি বাড়িতে শীতকালে বিভিন্ন ধরনের পিঠার আয়োজন করা হয়ে থাকে। কিন্তু নানা ব্যস্ততার কারণে ইচ্ছে থাকলেও এখন অনেকেই বাড়িতে শীতের পিঠা বানিয়ে খেতে পারে না।

পাঁচবিবি উপজেলার বাগজানা গ্রামের মোঃ আবু তাহেরের স্ত্রী মোছাঃ আক্তারা বেগম (৩৫) হলেন এক শীতের পিঠা বিক্রেতা। বাগজানা বাজারে শীতের চিতই পিঠা ও ভাপা পিঠা বিক্রি শুরু করেন তিনি। প্রায় ২ বছর ধরে শীতের পিঠা বিক্রি করে চলছে আক্তারা বেগমের সংসার। বিকেলে থেকে রাত ৯-১০টা পর্যন্ত চিতই পিঠা বিক্রি করেন তিনি। আক্তারা বেগম জানান, “এ সময় পর্যন্ত ৫০০ টাকা বিক্রি হয়, এতে খরচ বাদ দিয়ে যে টাকা অবশিষ্ট থাকে তা দিয়ে সংসার চালান। সন্ধ্যার পর থেকে ক্রেতারা সিরিয়াল দিয়ে পিঠা কিনে থাকে। বাদাম ভর্তা, কাঁচা ঝাল ভর্তা এবং শুটকি মাছের চাটনী দিয়ে এই পিঠা বিক্রি হচ্ছে। যা দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির ফলে ৫ টাকা দামে বিক্রি করে খুব একটা পোশায় না তার।

পাঁচবিবি উপজেলার ছোট-ছোট হাট বাজার রাস্তাঘাটের মোড়ে এই পিঠা বেচতে দেখা যায়। ভাপা পিঠার কথা জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান, আরও শীত ও কুয়াশা পড়া শুরু হলেই ভাপা পিঠার কদর বেড়ে যাবে বলে জানান আক্তারা বেগম। তারপরেও, এভাবেই সাশ্রয়ীমূল্যে পিঠা বিক্রি করে আক্তারা বেগম পরিচালনা করছে তার সংসার।

Advertisement