Homeঅন্যান্যঘূর্ণিঝড় রেমাল দেখতে কক্সবাজারে পর্যটক-দর্শনার্থীর ভিড়

ঘূর্ণিঝড় রেমাল দেখতে কক্সবাজারে পর্যটক-দর্শনার্থীর ভিড়

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে সাগর উত্তাল রয়েছে। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের প্রতিটি পয়েন্টে সতর্কতামূলক লাল পতাকা টাঙানো হয়েছে। সেইসঙ্গে সৈকতের সকল সেবা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে জেলা প্রশাসন।

কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৬ (ছয়) নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৯ (নয়) নম্বর মহাবিপদ সংকেত (পুনঃ) ০৯ (নয়) নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এদিকে ঘূর্ণিঝড় রেমালের এ তীব্রতা দেখতে সৈকতের তীরে ভিড় জমিয়েছে কক্সবাজারে অবস্থান করা পর্যটক ও দর্শণার্থীরা। বেলাভূমির লাবণী, সী-গাল, সুগন্ধা, ওশান বিচ ও কলাতলী পয়েন্টে শত-শত পর্যটক আবাল-বৃদ্ধ-বণিতার উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। অনেকে উপচে পড়া ঢেউয়ের সাথে মিতালি গড়ে গোসলে নামছে। সমানে তাদের উপরে নিরাপদ স্থানে উঠে আসতে তাগাদা দিচ্ছেন জেলা প্রশাসনের বিচকর্মী ও সৈকতে কাজ করা লাইফগার্ড কর্মীরা।

জেলা প্রশাসনের বিচ কর্মী বেলাল হোসেন বলেন, সকাল থেকে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সাগর বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। বড় বড় ঢেউ সৈকতে আছড়ে পড়ছে। পর্যটকদের অনুরোধ করেও সরানো যাচ্ছে না।

ঢাকার মালিবাগ থেকে দুই দিন আগে বেড়াতে এসেছে ব্যবসায়ী আসাদুজ্জামানের পরিবার। আজ রবিবার সকালে ফেরার কথা থাকলেও কক্সবাজারে বিমান চলাচল বন্ধ থাকায় আটকা পড়েছেন। দুপুর ১২টায় শহরের লাবণী পয়েন্টে সপরিবারে ঘূর্ণিঝড় পরিস্থিতি দেখতে এসেছেন আসাদুজ্জামান। তিনি বলেন, ‘কোনো সময় ঝড়ের তীব্রতা দেখার সুযোগ হয়নি। এই প্রথম সুযোগ হলো। বাচ্চারা বেশ উপভোগ করছে।’

তাঁর মতো অনেকেই ঝড়ের তীব্রতা ও বিক্ষুব্ধ সাগর দেখতে সাগরতীরে ভিড় করছে। সকাল থেকে কক্সবাজার শহর ও আশপাশের লোকজনও ভিড় করতে দেখা যায়। অনেককেই ঝড় নিয়ে টিকটক ও কনটেন্ট বানাতে দেখা গেছে। কাউকে কাউকে বালিয়াড়ির ভাঙন রোধে বসানো জিওব্যাগে দাঁড়িয়ে উত্তাল সাগর দেখতে দেখা যায়।

শনিবার (২৫ মে) বিকালের পর থেকে কক্সবাজারে রিমালের প্রভাব শুরু হয়েছে। থেমে থেমে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি আর দমকা হাওয়া বইছে। তবে কোথাও ঝোড়ো হাওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। কিছু কিছু জায়গায় উপকূলের বাসিন্দারা ছুটছেন আশ্রয়কেন্দ্রে।

এদিকে, রিমালের প্রভাবে কক্সবাজার থেকে বিমান ওঠানামা বন্ধ ঘোষণা করেছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ। কক্সবাজার বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক গোলাম মর্তুজা বলেন, ‘দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে বিমান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে চালু করা হবে।’

Advertisement