Homeসব খবরক্রিকেটখেলা কাকে বলে শিখিয়ে দিলো আফিফ মিরাজ : হতবাক...

খেলা কাকে বলে শিখিয়ে দিলো আফিফ মিরাজ : হতবাক রশিদ মুজিবরা

সিরিজ শুরু হওয়ার আগে কেই বা চিন্তা করেছিল আফগান বোলিং এর বিপক্ষে ভ’য়ঙ্কর এক ধরনের পরিস্থিতিতে পড়তে হবে টাইগারদের। আর এই পরিস্থিতির উৎপত্তি ঘটাবে নিজের মাত্র দ্বিতীয় ওয়ানডে খেলতে নামা পেস বোলার ওমর ফারুক এটাও বা কে জানতো।

নিজের প্রথম তিন ওভারের মধ্যেই টাইগারদের প্রথম চার ব্যাটসম্যানের উইকেট শিকার করেন এই আফগান পেসার। শুরুটা হয় দলীয় স্কোর যখন ১৩ সে সময় লিটনকে ফিরিয়ে দেন ওমর ফারুক, একই ওভারে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে তামিমের উইকেটটিও নিয়ে নেয় এ পেসার।

ক্রিজে তখন দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান সাকিব আল হাসান এবং মুশফিকুর রহিম। মাত্র ৩ রান করেই দলীয় স্কোর যখন ১৮ ফারুকের বলে সাজঘরে ফেরেন মুশফিকুর। একই ওভারের শেষ বলে ইয়াসির আলীর উইকেট টিও তুলে নেয় ফারুক। দেখতে দেখতেই বিনা উইকেটে ১৩ থেকে ১৮ রানে চার উইকেট পড়ে যায় টাইগারদের। মাত্র পাঁচ রানের ব্যবধানে চারটি উইকেট হারায় বাংলাদেশ। পরবর্তীতে সাকিব এবং মাহমুদুল্লাহ ও বেশিক্ষণ টিকতে পারেনি মাত্র ৪৫ রানেই ছয় উইকেট হারিয়ে বিশাল বিপর্যয়ে পড়ে টাইগাররা।

টপ অর্ডারের এধরনের অসহায় আত্মসমর্পণের পর স্বভাবতই ইনিংসটি ১০০ রানের নিচে গুটিয়ে যাবে এটাই স্বাভাবিক। তবে দুই তরুণ ক্রিকেটারের আফগান বোলিংয়ের বিপক্ষে এ ধরনের প্রতিরোধ গড়া খুবই প্রশংসনীয়।আফিফ-মিরাজের জুটি ভাঙ্গার জন্য পরবর্তীতে রশিদ খানকে বোলিংয়ে আনা হয়। তবে বলতে হবে এক্ষেত্রে বর্তমান বিশ্বের সেরা লেগস্পিনার ব্যর্থ হয়েছেন। বেশ অনায়াসেই রশিদ কে খেলেছেন আফিফ এবং মিরাজ। রশিদের বলে শুধু ডিফেন্ড নয় অ্যাটাকিং খেলার চেষ্টা করেছেন এ দুই ব্যাটসম্যান। দুই তরুণ ক্রিকেটার জানতেন রশিদ এর মূল লক্ষ্য জুটিটা ভাঙ্গা।

তাই বেশ দেখেশুনেই রশিদ কে খেলেছেন এই দুই তরুণ। তবে যখনই রশিদ কোন লুজ বল দিয়েছেন সেগুলোতে বাউন্ডারি হাঁকিয়েছেন এ দুই ব্যাটসম্যান। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১০ ওভারে ৩০ রান দিয়ে ১ উইকেট নিয়েছেন রশিদ। দুই তরুণের মূল লক্ষ্য ছিল যত বেশি সম্ভব স্ট্রাইক রোটেট করা। বলাই চলে রশিদ পরীক্ষাতে বেশ ভালোভাবেই উতরে গেছেন আফিফ-মিরাজ।

শেষ পর্যন্ত ম্যাচ শেষ করেই মাঠ ছাড়েন আফিফ ও মিরাজ। মিরাজ ১২০ বলে ৮১ রান ও আফিফ ১১৫ বলে ৯৩ রান করে অপরাজিত ছিলেন।

Advertisement