Homeঅন্যান্যক্রিপ ফিডিংয়ে অবিশ্বাস্যভাবে বেড়ে উঠছে ব্ল্যাক বেঙ্গল

ক্রিপ ফিডিংয়ে অবিশ্বাস্যভাবে বেড়ে উঠছে ব্ল্যাক বেঙ্গল

প্রতি বছর সংখ্যা বাড়লেও সঠিক খাদ্য নির্বাচনের অভাবে দ্রুত বেড়ে উঠেনা গবাদি পশু। এর সমাধানে বিভিন্ন খাদ্য উপাদানের সমন্বয়ে তৈরি ‘’ ক্রিপ ফিডিং’’ পদ্ধতির মাধ্যমে তৈরি বিশেষ খাদ্যে অবিশ্বাস্যভাবে দ্রুত বেড়ে উঠছে দেশীয় ছাগলের জাত- ব্ল্যাক বেঙ্গল। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষকের এ সফল গবেষণালব্ধ পদ্ধতি সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে চায় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর।

প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তরে ২০২৩ সালের সবশেষ হিসাব অনুযায়ী দেশে গবাদি পশুর সংখ্যা প্রায় সাড়ে চার কোটি। আর এর মধ্যে ছাগলের সংখ্যা দুই কোটি উনসত্তর লাখ। এক দশকেই বেড়েছে প্রায় ৩৮ লাখ। যার মধ্যে সিংহভাগই দেশের অতি পরিচিতি যাত” ব্ল্যাক বেঙ্গল” জাত। উৎপাদনের হার, মাংসের পুষ্টিগুণ আর লালন পালনের সহজ পদ্ধতির কারণে প্রতি বছরই বাড়ছে এ জাতের ছাগল উৎপাদন।

দেশে ছোট বড় মিলিয়ে লক্ষাধিক ছাগলের খামার গড়ে উঠেছে। এ ছাড়াও বিচ্ছিন্নভাবে দুই একটি- ছাগল পালন করছেন, এমন পরিবারের সংখ্যাও নেহায়েত কম নয়। কিন্তু সঠিক খাবার নির্বাচনের গুরুত্ব সম্পর্কে জানে না অনেক খামারি কিংবা বিচ্ছিন্নভাবে পশু পালনের সাথে জড়িতদের অনেকে।

পশুখাদ্যের সহজলভ্য কিছু উপাদান যেমন, সরিষার খৈল শতকরা ৩৪ ভাগ, ভূট্টা গুড়া, ৩০ ভাগ, চালের কুড়া, ২৮ ,গমের ভূষি ৭ দশমিক ৫, ও লবণের পরিমাণ শূন্য দশমিক ৫ ভাগ। এসবের সমন্বয়ে তৈরি বিশেষ খাদ্যমেনু পরীক্ষামূলক পদ্ধতির মাধ্যমে মাত্র তিন মাসেই ছাগলের বাচ্চার সুস্থতার অতি দ্রুত বেড়ে ওঠার প্রমাণ পেয়েছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। দেশের কয়েকটি অঞ্চলে চলছে পাইলটিং প্রকল্প।

বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প ”ক্রিপ ফিডিং” কার্যক্রম সরাসরি তত্ত্ববধায়ন করছে। এ পদ্ধতিতে আশাব্যাঞ্জক সাফল্যের কারণে স্থানীয় প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের মাধ্যমে এটি দ্রুতই দেশব্যাপী ছড়িয়ে দিতে চান সংশ্লিষ্টরা।

তবে কেবল ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাড়াও ছাগলের অন্যান্য জাত ও ভেড়ার ক্ষেত্রেও ”ক্রিপ ফিডিং” পদ্ধতি কার্যকর হওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী গবেষকরা।-বাংলাভিশন।

Advertisement