আগামীকাল ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জায়েদ ও নিপুণ কেউই শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করতে পারবে না। যেহেতু, আইনি লড়াই চলছে।
গত বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) নিপুণ শিল্পী সমিতির অফিস খুলে সেখানে গিয়ে সাধারণ সম্পাদকের চেয়ারে বসেন। এমনকি নিপুণ নিজের নাম লিখে সাধারণ সম্পাদকের নেমপ্লেটও সামনে নিয়ে বসেন। এ ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে চলচ্চিত্রাঙ্গনে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
অনেকে বলছেন, আদালতের নির্দেশনা সত্ত্বেও নিপুণ এ কাজ করল কীভাবে? তিনি কি আদালতের নির্দেশনা অমান্য করলেন?
মনোয়ার হোসেন ডিপজল বলেন, ‘আইন সবার জন্য সমান। কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়। বিষয়টি যেহেতু আদালতে বিচারাধীন, তাই বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত নিপুণ বা জায়েদ যেই হোক না কেন, আদালতের নির্দেশনা অমান্য করা উচিত নয়।’
ডিপজল আরো বলেন, ‘বিষয়টি আমি শুনেছি। যদি তাই হয়ে থাকে, তাহলে কাজটি ভালো হয়নি। যেহেতু আমরা জানি, আদালত ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত নিপুণ বা জায়েদ কাউকেই দায়িত্ব পালনের আদেশ দেন নাই, তাই দুজনেরই এই আদেশ মানতে হবে। কেউ অমান্য করলে বা জোর-জবরদস্তি করলে এটা আইনের লঙ্ঘন হয়েছে কি না, তা আদালত দেখবে। তবে আমার মতে, এটা কোনোভাবেই উচিত হয়নি। আইনের প্রতি সবারই শ্রদ্ধা থাকতে হবে এবং মানতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এখানে জোর-জবরদস্তির বিষয় নেই। আমরা শিল্পীরা সবাই এক পরিবারের সদস্য। এখানে কোনো ধরনের ঝামেলা করা উচিত নয়। আমি মনে করি, আইন-আদালত যার পক্ষে রায় দেবে, সেই দায়িত্ব পালন করবে।’