Homeসব খবরজেলার খবরকাঁচা পাকা মিষ্টি কুমড়ায় ভরে গেছে হাকালুকি হাওর

কাঁচা পাকা মিষ্টি কুমড়ায় ভরে গেছে হাকালুকি হাওর

অপরূপ রূপে আকৃষ্ট হাকালুকি হাওর পর্যটনের পাশাপাশি দেশের খাদ্য যোগানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। হাকালুকি হাওরে প্রতিবছরই ধান, ভুট্রা, সূর্যমুখী, সরিষা, বাদাম ভালো ফলন হলেও এবছর মিষ্টি কুমড়ার বাম্পার ফলন হয়েছে। মিষ্টি কুমড়া চাষ করে ভালো দাম ও লাভবান হওয়ায় খুশি প্রান্তিক কৃষকরা। এশিয়া মহাদেশের বৃহত্তম হাওর হাকালুকি‌। প্রতিদিন হাজারো পর্যটক ভিড় জমান হাওরের নৈসর্গিক সৌন্দর্য দেখতে। স্থানীয়দের পাশাপাশি দেশ বিদেশের ভ্রমণ পিপাসুদের কাছে হাকালুকি হাওর সবচেয়ে আকর্ষণীয় স্থান।

হাওরের বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে বড় বড় মিষ্টি কুমড়া। অধিকাংশ কুমড়া পেকে হলুদ রং ধরেছে। কৃষকরা কুমড়া তুলছেন। মিষ্টি কুমড়া তুলতে কৃষকদেরকে কৃষি শ্রমিক সহ পরিবারের সদস্যরা সহযোগিতা করছে। কৃষকদের সাথে থাকা পরিবারের ছোট সদস্য শিশুরা বেশি ওজনের কুমড়া তুলে আনতে পারছে না, তবু আনন্দের সঙ্গে জড়িয়ে ধরে টেনে টুনে স্তূপে এনে রাখছে। কৃষকরা ক্ষেতের পাশের রাস্তায় দাঁড় করানো রিকশা ভ্যানে ও নৌকায় এনে কুমড়া রাখছেন। বড় কুমড়াগুলোর ওজন ২০ থেকে ২৫ কেজির মতো হবে। সেই কুমড়া নিয়ে যাবেন বাজারে।

উপজেলার হাকালুকি হাওরে এবার ৯৪ হেক্টর জমিতে মিষ্টি কুমড়ার চাষ হয়েছে। চাষিদেরকে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মাধ্যমে মাঠ পর্যায়ে প্রযুক্তিগত পরামর্শ সহায়তা দেওয়া হয়। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ বছর মিষ্টি কুমড়ার ফলন ভালো হয়েছে।

হাকালুকি হাওরের কুমড়া চাষি মোঃ কালা মিয়া বলেন, এ বছর হাওরে অন্যান্য বছরের তুলনায় আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় মিষ্টি কুমড়ার ফলন ভালো হয়েছে। বীজ ছাড়া কুমড়া চাষে তার কোনো বাড়তি খরচ হয়নি। ভালো লাভ পেয়ে খুশি লাগছে। এছাড়া কৃষকরা জানান, কম খরচে বেশি লাভ হওয়ায় তারা মিষ্টি কুমড়া চাষে ঝুঁকছেন। নির্দিষ্ট সময়ে বাজারজাত করে লাভবান হওয়ায় সত্যিই ভালো লাগছে। এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বাজারে মিষ্টি কুমড়ার বিক্রি প্রায় শেষ। কুমড়া দেশের বিভিন্ন জায়গায় পাঠানো হয়‌। প্রতিদিন পাইকারি দামে হাওর থেকে এসে পাইকারি ব্যবসায়ীরা মিষ্টি কুমড়া ক্রয় করে।

উপজেলা কৃষি অফিসার (অতি: দায়িত্ব) মোঃ মনোয়ার হোসেন বলেন, ‘উপজেলায় এবার ৯৪ হেক্টর জমিতে মিষ্টি কুমড়ার চাষ হয়েছে। এ বছর মিষ্টি কুমড়ার বাম্পার ফলনে চাষীরা অনেক খুশী। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ বছর হাওরে সব ধরনের ফসল ভালো হয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মাধ্যমে মাঠপর্যায়ে চাষিদের প্রযুক্তিগত পরামর্শ সহায়তা দেওয়া হয়।

Advertisement