Homeসব খবরজেলার খবরএবার তুলা চাষে ঝুঁকছেন পাহাড়ের চাষিরা

এবার তুলা চাষে ঝুঁকছেন পাহাড়ের চাষিরা

সময়ের পরিক্রমায় দেশে বাড়ছে তুলার চাহিদা। যারফলে তুলা চাষেও যুক্ত হচ্ছেন নতুন নতুন চাষি। সম্প্রতি বান্দরবান, রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়িতে ব্যাপকভাবে চাষ হচ্ছে তুলার। চলতি অর্থবছরে তিন পার্বত্য জেলায় আপল্যান্ড (উঁচু ভূমি) তুলার আবাদসহ উৎপাদন বেড়েছে ২০০ শতাংশের বেশি।

সরেজমিনে গিয়ে চাষিদের সাথে কথা বলে জানা যায়, সেচ, সামান্য সার ও কীটনাশক ব্যবহার ছাড়া তুলা চাষে তেমন একটা খরচ নাই। তুলার সঙ্গে বাড়তি আয়ের উৎস হিসাবে শুরুতেই লালশাক ও পরে বরবটি, ভুট্টা চাষ করা যায়। এতে করে তুলার পাশাপাশি সবজিও বিক্রি করে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়া যায়। প্রতিটি গাছে গড়ে ৩৫-৪০টি বোল থাকে, প্রতি বোলে ৫ গ্রাম করে তুলা পাওয়া গেলে প্রতি বিঘায় ৭৩৫ থেকে ৭৫০ কেজি তুলা উৎপাদন হয়।

মহালছড়ি উপজেলার তুলাচাষি সুচিত্র চাকমা জানান, প্রতিবিঘায় ৪২০০ থেকে ৪৫০০ চারা বপন করতে হয়। বপনের পর জাত ভেদে ১১০-১২০ দিনের মধ্যে তুলার বোল ফাটতে শুরু করে। ৩-৪ বারে সব তুলা সংগ্রহ করতে ৪০-৫০ দিন সময় লাগে।

আরেক তুলাচাষি মাহিল হোসেন জানান, প্রতি হেক্টর জমিতে ৪-৫ মাসে সার বীজসহ মোট ১৫ হাজার টাকার মতো খরচ হলেও ৬৫ হাজার থেকে ৭০ হাজার টাকার ফসল পাওয়া যায়। তুলা চাষে সরকারিভাবে সেচযন্ত্রের সহযোগিতা পেলে আরও অধিক জমিতে তুলা চাষ করতে পারবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

এদিকে চলতি অর্থবছরে তা বেড়ে ১ হাজার ১৪৮ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ হয়েছে। ২০২০-২১ অর্থবছরে তুলার মোট উৎপাদন ছিল ১ হাজার ৫৮৯ টন। চলতি অর্থবছরে তা বেড়ে ৩ হাজার ২৭১ দশমিক ৪ টন উৎপাদন হয়।

Advertisement