Homeসব খবরবিনোদনএখনও সেই চরিত্রটি পাইনি : জয়া আহসান

এখনও সেই চরিত্রটি পাইনি : জয়া আহসান

শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) একইদিনে দুই বাংলায় মুক্তি পাচ্ছে তাঁর দুটি ছবি। একটি নুরুল আলম আতিকের ‘পেয়ারার সুবাস’, অন্যটি পশ্চিমবঙ্গের সৌকর্য ঘোষাল পরিচালিত ‘ভূতপরী’।

সিনেমা দুটি মুক্তির প্রাক্কালে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। যাতে উঠে এসেছে ঢালিউড-টলিউড, ইরানের ফজর চলচ্চিত্র উৎসব ও ক্যারিয়ারে চরিত্র বাছাইসহ নানা প্রসঙ্গ।

বাংলাদেশে ‘পেয়ারার সুবাস’ আর পশ্চিমবঙ্গে ‘ভূতপরী’—আপনি কোন ছবিকে ভোট দেবেন, এমন প্রশ্নে জয়ার ভাষ্য, ‘শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) আমি কলকাতায় থাকব। কিন্তু চাই দুটো ছবিই যাতে দুই দেশের দর্শক দেখেন।’

প্রায় ১১ বছর ধরে টলিউডে অভিনেত্রী। একে একে উপহার দিয়েছেন ‘আবর্ত’, ‘রাজকাহিনী’, ‘ঈগলের চোখ’, ‘বিনিসুতোয়’, ‘দশম অবতার’, ‘অর্ধাঙ্গিনী’র মতো উল্লেখযোগ্য সিনেমা। সেই টলিউডের পরিস্থিতি নিয়ে জয়ার ভাষ্য, ‘‘করোনার পর তো এখন পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক হয়েছে। স্বাধীন ছবিও তৈরি হচ্ছে। কিন্তু একসঙ্গে আরও ভালো ছবি প্রয়োজন। সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। আরও একটা জিনিস, দর্শককে আমরা ইন্ডাস্ট্রির লোকেরা একটু ‘বোকা’ ভাবি। সেটা ঠিক নয়।’’

এদিকে, বাংলাদেশের চলচ্চিত্র নিয়ে তাঁর ভাষ্য, ‘বাংলাদেশে আমরা অনেক বেশি ইন্টারেস্টিং চরিত্র পাই। সেখানে খারাপ ছবিও রয়েছে। কিন্তু আমার দেশের ছবিতে প্রেমটা প্রচণ্ড বেশি থাকে। টলিউডে সেটা একটু কম মনে হয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও অনেক ভালো কাজ এখানে হচ্ছে। টলিউডে নতুনদের সঙ্গেও কাজ করতে চাই। সিনিয়ররা যেন আরও ডায়নামিক চরিত্রে আমাকে ভাবেন, সেটাই চাই। আসলে ভালো চরিত্র নয়, আমি ভালো ছবির অংশ হতে চাই।’

২০০৪ সালে মোস্তফা সরয়ার ফারুকী পরিচালিত ‘ব্যাচেলর’ সিনেমা দিয়ে চলচ্চিত্রে অভিষেক করেন জয়া। সেই হিসেবে প্রায় ২০ বছর হয়ে গেল সিনেদুনিয়ায়। তবে তিনি কি এরই মধ্যে সেরা চরিত্রটি পেয়েছেন? জয়া বললেন, ‘আমি অপেক্ষায় রয়েছি। শিল্পী হিসেবে আমি স্বার্থপর হতেই পারি। তাই মনে হয়, এখনও সেই চরিত্রটি পাইনি।’

এ ছাড়াও ওই সাক্ষাৎকারে জয়া জানিয়েছেন সম্প্রতি শেষ হওয়া আন্তর্জাতিক ফজর থিয়েটার ফেস্টিভ্যালের অভিজ্ঞতা। সেখানে প্রদর্শিত হয়েছে তাঁর অভিনীত প্রথম ইরানি চলচ্চিত্র ‘ফেরেশতে’। এতে তিনি ছাড়াও অভিনয় করেছেন রিকিতা নন্দিনী শিমু, সুমন ফারুক, শহীদুজ্জামান সেলিম, শাহেদ আলী প্রমুখ। এর গল্প লিখেছেন মুমিত আল রশিদ। ইরান-বাংলাদেশের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত এই ছবি পরিচালনা করেছেন মুর্তজা অতাশ জমজম।

Advertisement