Homeসব খবরজেলার খবরএক মৌসুমেই ৬ লাখ টাকার কুল বিক্রির আশা

এক মৌসুমেই ৬ লাখ টাকার কুল বিক্রির আশা

রহিম সিকদার ঝালকাঠি সদর উপজেলার পোনাবালিয়া ইউনিয়নের কিস্তাকাঠি এলাকার বাসিন্দা। টগবগে যুবক রহিম সিকদার। শুধু চাকরির পেছনে না ঘুরে আত্মনির্ভরশীল হতে চেয়েছিলেন তিনি। সেই অনুযায়ী বাবার সঙ্গে ৩০০ শতাংশ জমিতে করেছেন কুল চাষ। সেই কুল চাষে হয়েছেন সফলও। তবে আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এক মৌসুমে ৬ থেকে ৭ লাখ টাকার কুল বিক্রি করা যাবে।

কুল চাষি রহিম জানান, তার বাগানের কুল খুবই মিষ্টি ও সুস্বাদু। ঝালকাঠির আশেপাশের পাইকাররা এসে তার বাগান থেকে কুল কিনে নিয়ে যান। বর্তমানে তার দুইটি বাগানে আপেল কুল, বাউকুল, বল সুন্দরী, নারিকেল সুন্দরী, কাশ্মীরি, থাই টকসহ ছয় জাতের কুল রয়েছে। তার বাগানে দুই থেকে আড়াই লাখ টাকা খরচ হয়েছে। তবে আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এক মৌসুমে ৬ থেকে ৭ লাখ টাকার কুল বিক্রি করা যাবে।

কুল ক্রেতা কাওসার বলেন, কুল কিনতে বরিশাল থেকে এখানে এসেছি। তাদের কুল খুবই সুস্বাদু ও দামে কম। গত দুই বছর ধরে এখান থেকেই কুল কিনে যাই।

ঝালকাঠি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মনিরুল ইসলাম বলেন, ঝালকাঠিতে কুল চাষ দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তারা কুল চাষিদের প্রশিক্ষণ, সার ও সেচ ব্যবস্থাপনাসহ নানা পরামর্শ প্রদান করেন। কুল যেহেতু লাভজনক। তাই কুল চাষে শিক্ষিত যুবক ও তরুণ কৃষক উদ্বুদ্ধ হয়ে এই কুল চাষ করছেন।

Advertisement