Homeসব খবরবিনোদনএক চুমুতেই ভেঙেছিল বিয়ে, ৬ নম্বর প্রেমিকের সঙ্গে ঘর...

এক চুমুতেই ভেঙেছিল বিয়ে, ৬ নম্বর প্রেমিকের সঙ্গে ঘর বাঁধেন অভিনেত্রী

বছরে পর বছর ধরে চুটিয়ে টেলিভিশনে কাজ করেছেন। এককালে প্রায় সমস্ত জনপ্রিয় ধারাবাহিকের মুখ ছিলেন। রিয়েলিটি শোয়ের মধ্যমণি হতেও দেখা গিয়েছে তাকে। তবে বলিউডে সে ভাবে ছাপ ফেলতে পারেননি। তা সত্ত্বেও করিশ্মা তন্নাকে নিয়ে শোরগোল কমেনি। বলিউডি পর্দায় তারকা হয়ে ওঠেননি বটে। তবে পেজ থ্রি-র পাতায় প্রায়শই ভেসে থেকেছেন করিশ্মা। কখনও খ্যাতনামী সুরকারের ছেলের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছেন। কখনও বা আবার সম্পর্কে থাকাকালীন ‘বিগ বস্‌’-এর ঘরে চুমু খেয়েছেন নতুন প্রেমিককে। আবার সেই প্রেমিকই তার বিরুদ্ধে ধোঁকা দেওয়ার অভিযোগ এনেছেন। এক বার তো পোশাক পরে বাথটবে শুয়েও ট্রোলড হয়েছেন।

আধ ডজন প্রেমের পর সম্প্রতি তার ছয় নম্বর প্রেমিককে বিয়ে করলেন করিশ্মা। চলতি মাসের গোড়ায় একটি ছিমছাম অনুষ্ঠানে বরুণ বঙ্গেরার গলায় মালা দিয়েছেন। তবে সে বিয়ের আগে কম বিতর্কে জড়াননি তিনি। বলিউডে কোনও গডফাদার নেই করিশ্মার। গুজরাতি মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে মুম্বাইয়ে গিয়েছিলেন পড়াশোনার জন্য। কলেজের পড়াশোনার ফাঁকেই শুরু হয়েছিল টুকটাক মডেলিংয়ের কাজ। অনেকে বলেন, সে কাজ খুঁজতে বিশেষ বেগ পেতে হয়নি ৫ ফুট ৯ ইঞ্চির করিশ্মার।

তবে ওই উচ্চতাই নাকি কাল হয়েছিল বলিউড ছবিতে। হিরোর থেকে তো নায়িকার উচ্চতা বেশি-এ কথা নাকি করিশ্মাকে বার বার শুনতে হয়েছে। তবে সে ‘বাধা’য় পিছিয়ে পড়েননি করিশ্মা। মডেলিং থেকে টেলিভিশনের পর্দায় উত্তরণে বেশি দেরি হয়নি। ২০০১ সালে ইন্দুকে দেখেছিলেন দর্শকেরা। ‘কিঁউকি সাস ভি কভি বহু থি’-তে ছোট্ট রোলেও দাগ কেটেছিলেন করিশ্মা। টেলিভিশনে বার বার এসেছেন করিশ্মা। কখনও ‘এক লড়কি আনজানি সি’, কখনও বা ‘নাগিন-৩’ অথবা ‘কয়ামত কি রাত’। করিশ্মার গ্ল্যামারের ছটায় টিভি সেটের সামনে অধীর আগ্রহে বসে পড়েতেন দর্শকেরা।

টিভির জনপ্রিয়তার জোয়ার বলিউডে তুলতে পারেননি। ‘দোস্তি: ফ্রেন্ডস ফরেভার’ ছবিতে অক্ষয় কুমার, ববি দেওল, কারিনা কাপুর এবং লারা দত্তদের ভিড়ে করিশ্মাকে সে ভাবে খুঁজে পাওয়া যায়নি। ফলে ছোটপর্দায় মনোযোগ দেন তিনি। ‘বিগ বস্‌’ বা ‘খতরোঁ কি খিলাড়ি’-র মতো রিয়েলিটি শো নিয়ে টেলিভিশন মাতাতে শুরু করে দিয়েছিলেন করিশ্মা। ‘কমেডি সার্কাস’, ‘জরা নাটকে দিখা’ বা নাচ বলিয়ের মতো শোয়েও দশর্কেরা তাকে পছন্দ করেছেন। ২০১৩ সালে ফের বড়পর্দায় ফিরেছিলেন করিশ্মা। এ বার ইন্দ্র কুমারের ‘গ্র্যান্ড মস্তি’। ছবি সফল হলেও সমালোচকেরা সেটিকে আধা পর্ন বলে দাগিয়ে দিয়েছিলেন। তা থেকে সে ভাবে ফায়দা তুলতে পারেননি করিশ্মা।

টেলিভিশনের পর্দায় ২০১৪ সাল থেকে বেশ সাফল্য জুটেছিল তার। বিগ বস-৮, নাগিন-৩ বা আজ কি রাত হ্যায় জিন্দেগির মতো রিয়েলিটি শোয়ে ফের করিশ্মার টিআরপি চড়চড় করে বাড়তে থাকে। সেই সঙ্গে বিতর্কও জু়ড়ে যায় তাঁর সঙ্গে। ‘প্রেমিক’দের নিয়েও বরাবরই খবরে থেকেছেন করিশ্মা। অনেকে বলেন, সদ্যপ্রয়াত বাপ্পি লাহিড়ির ছেলে বাপ্পাই তার প্রথম প্রেমিক। দু’জনকে একসঙ্গে নাকি ঘোরাফেরা করতেও দেখা গিয়েছিল। তবে ২০১০ সাল নাগাদ নাকি সে সম্পর্ক ঘুচে যায়। বাপ্পার পর অভিনেতা হানিফ হিলালের সঙ্গে প্রেম শুরু হয়েছিল করিশ্মার। ‘জোর কা ঝটকা’ নামে একটি রিয়েলিটি শোয়ের শ্যুটিংয়ের জন্য আর্জেন্টিনায় গিয়েছিলেন তারা। সেখানেই নাকি জমে উঠেছিল সম্পর্ক। তবে তাতেও এক সময় চিড় ধরে।

মুম্বাইয়ের এক ক্লাবের মালিক রুষভ চোক্সীর সঙ্গে করিশ্মার নাকি বিয়ে পর্যন্ত কথা এগিয়েছিল। তবে অনেকে বলেন, করিশ্মার জন্য সেই সম্পর্ক ভেঙে যায়। তখন তার জীবনে এসে গিয়েছেন মডেল তথা অভিনেতা উপেন পটেল। ‘বিগ বস-এর ঘরে দু’জনেই ঢুকেছিলেন। সেখানেই বিপত্তি। ‘বিগ বস’-এর অষ্টম মরসুমে ক্যামেরায় ধরা পড়েছিল উপেন-করিশ্মার চুমু। যা দেখে নাকি রেগে করিশ্মার প্রেমিক তথা বহু স্বামী রুষভ। সঙ্গে সঙ্গে করিশ্মাকে বিদায় জানিয়েছিলেন। রুষভের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর নাকি উপেনকেই আঁকড়ে ধরেন করিশ্মা। নেটমাধ্যমে যুগলের ছবি নাকি তার প্রমাণ। তবে সম্পর্ক গাঢ় হতে না হতেই বিভ্রাট। করিশ্মার বিরুদ্ধে তাকে ঠকানোর অভিযোগ করেন উপেন।

উপেনের সঙ্গে সম্পর্কের শেষে আবার নাকি প্রেমে পড়েছিলেন করিশ্মা। এবার অভিনেতা পার্ল ভি পুরি। তবে সে সম্পর্কও বেশি দূর এগোয়নি। ২০১৯ সালে একটি চার বছরের মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে পার্লের বিরুদ্ধে। তাকে গ্রেফতারও করা হয়েছিল। পরে অবশ্য জামিন পেয়ে যান তিনি। যদিও ওই ঘটনার পর পার্লের সঙ্গে সম্পর্কে টিকে থাকেননি করিশ্মা। করিশ্মার জীবনে লাকি সিক্স বোধহয় বরুণ বঙ্গেরা। দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বের পর ৫ ফেব্রুয়ারি তাঁকে বিয়ে করেছেন করিশ্মা। মুম্বাইয়ে বিয়ের অনুষ্ঠানের পরেও বিশ্বাস হচ্ছিল না তিনি বিবাহিত। সংবাদমাধ্যমে করিশ্মা বলেছেন, নিজেকে চিমটি কেটে দেখছি। বিশ্বাসই হচ্ছে না, আমি সত্যিই বিয়ে করেছি! সুত্র: আনন্দবাজার।

Advertisement