Homeসব খবরজেলার খবরএই ভরা মৌসুমেও পানের উৎপাদন কম

এই ভরা মৌসুমেও পানের উৎপাদন কম

অনাবৃষ্টির কারণে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় উৎপাদন কমেছে অর্ধেক। এতে ক্ষতির মুখে পড়েছে পান চাষের ওপর নির্ভরশীল খাসিয়া জনগোষ্ঠী। যদিও সাহায্য সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। ভরা মৌসুমেও পানের উৎপাদন কম মৌলভীবাজারের ৭৫টি পানপুঞ্জিতে।

পানের গাছ পাহাড় টিলার ভাঁজে-ভাঁজে রোপণ করা হয়েছে। এই পান উৎপাদনের সঙ্গেই আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে আছে মৌলভীবাজারের খাসিয়া জনগোষ্ঠীর জীবন ও জীবিকা। পুরুষরা পানপাতা সংগ্রহ করে আনলে আঁটি বেঁধে তা বাজারে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করেন পরিবারের মেয়েরা।

তবে পান চাষিদের দাবি, এ বছর পানের উৎপাদন কমার সঙ্গে কমেছে আয় রোজগারও। তারা বলছেন, গেল বছর এই সময় একটি পরিবার সপ্তাহে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকার পান বিক্রি করতো। তবে এবার হাতে আসছে মোটেই ৬ হাজার টাকা।

এক খাসিয়া নারী বলেন, পান বিক্রি করা অর্থ দিয়েই আমাদের সংসার চলে। আমরা বাচ্চাদের লেখাপড়া শেখাই। এক খাসিয়া পুরুষ বলেন, আগের বছরগুলোতে পান বিক্রি করে আমরা পাইতাম ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা। এখন পাই ৬ থেকে ৭ হাজার টাকা।

বর্ষা মৌসুমে অন্য সময়ের চেয়ে দেড় থেকে দুই গুণ বেশি পান তোলা হয়। কিন্তু খরার কারণে এই উৎপাদন এবার নেমেছে অর্ধেকে। পানের আকারও ছোট। আরেক খাসিয়া নারী বলেন, এ বছর বৃষ্টি কম বলে পানের আকার ছোট। পরিমাণও অনেক কম। প্রত্যাশা অনুযায়ী, আয় হচ্ছে না।

সেচ সুবিধা না থাকায় পান চাষিদের নির্ভর করতে হয় প্রকৃতির ওপর। খরার কারণে এ বছর পর্যাপ্ত পরিচর্যা করা সম্ভব হয়নি। মাগুড়ছড়া পুঞ্জির খাসিয়া মন্ত্রী জিডিসন সুচিয়াং বলেন, চলতি বছর বৃষ্টিপাত কম। এছাড়া পরিচর্যাও ঠিকমতো হচ্ছে না। ফলে পানের উৎপাদন কমেছে।

জেলা কৃষি কর্মকর্তাও বলেন একই কথা। আশ্বাস দেন বিভিন্ন সাহায্য সহযোগিতার। মৌলভীবাজার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. শামসুদ্দিন বলেন, পান চাষিদের জন্য একটি প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। এটি পাস হলে আমাদের তৎপরতা আরও বাড়বে। ফলে পানের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে।

Advertisement