Homeসব খবরবিনোদনঋতুপর্ণাকে রাজনীতিতে দেখতে চান ফেরদৌস

ঋতুপর্ণাকে রাজনীতিতে দেখতে চান ফেরদৌস

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটের লড়াইয়ে জয় লাভ করে চিত্রনায়ক ফেরদৌস এখন পুরোদস্তুর সংসদ সদস্য। তিনি মনে করেন, রাজনীতির মাধ্যমেই সমাজ পরিবর্তনে কার্যকরী ভূমিকা গ্রহণ সম্ভব! সেই বিশ্বাস থেকে এবার পশ্চিমবঙ্গের দীর্ঘদিনের সহ-অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনকেও তার দেশে রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানালেন!

বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) ঢাকায় আসেন ঋতুপর্ণা সেন। উদ্দেশ্য আগামী এপ্রিলে আমেরিকার নিউ ইয়র্কে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ‘সুচিত্রা সেন আন্তর্জাতিক বাংলা চলচ্চিত্র উৎসব-২০২৪’ এর সংবাদ সম্মেলনে যোগদান!

এদিন জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ভারতীয় অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা ছাড়াও অতিথি হিসেবে হাজির ছিলেন নায়ক-সংসদ সদস্য ফেরদৌস আহমেদ। দুজনের বন্ধুত্বের বয়স প্রায় দুই যুগ!

ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও নায়ক ফেরদৌস সংসদ সদস্য হওয়ার পর প্রথমবার বাংলাদেশে আসলেন ঋতুপর্ণা। তাকে বরণ করলেন দলীয় প্রতীক ‘নৌকা’ দিয়ে! ঋতুপর্ণার হাতে তুলে দিলেন স্বর্ণের একটি নৌকা। সেই সঙ্গে পরামর্শ দিলেন, আগামিতে যেন ঋতুপর্ণাও নিজে দেশে রাজনীতিতে সক্রিয় হন!

ঋতুপর্ণাকে রাজনীতিতে দেখতে চান জানিয়ে ফেরদৌস এদিন বলেন, ‘মানুষের সেবক হওয়ার মতো সব গুণ ঋতুপর্ণার মধ্যে আছে। আমি চাইবো তিনি যেন আমার দেখানো পথে হেঁটে রাজনীতিতে যোগ দেন। প্রধানমন্ত্রী যদি আমাকে এই ক্ষমতাটুকু না দিতেন তাহলে কিন্তু মানুষের কল্যাণে কাজ করতে পারতাম না। আমি চাই, ভারত সরকার এটা যেন ভালোভাবে দেখেন। তাহলে আমরা দুই বন্ধু মিলে দুই দেশের সম্পর্ক-মৈত্রী আরও দৃঢ় করতে পারবো।’

ঋতুপর্ণাকে নৌকা দিয়ে বরণ করার বিষয়ে ফেরদৌস বলেন, ঋতুপর্ণার সঙ্গে আমার ২৫ বছরের পথচলা। আমি খুব কাছে থেকে দেখেছি, মানুষের পাশে থেকে তিনি কীভাবে সহযোগিতা করেন। মানুষের কল্যাণ করার জন্য একটা মানুষের মধ্যে যেসব গুণ থাকতে হয় ঋতুপর্ণার থেকে তার বেশিরভাগ আমি শিখেছি। তার ভালো কাজগুলো আমাকে অনেক বেশি প্রভাবিত করেছে। সেজন্যই হয়তো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকা ১০ আসনের মত গুরুত্বপূর্ণ আসনে নৌকা প্রতীক আমার হাতে তুলে দিয়েছেন। ঋতুপর্ণা এ দেশে এসেছে তাই তাকে আমাদের নৌকা দিয়ে বরণ করে নিতে চাই।

‘সুচিত্রা সেন আন্তর্জাতিক বাংলা চলচ্চিত্র উৎসব-২০২৪’ এর সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন উৎসব আয়োজক কমিটির উপদেষ্টা একুশ পদকপ্রাপ্ত লেখক, বিজ্ঞানী ও মুক্তিযোদ্ধা ড. নূরুন নবী ও অভিনয়শিল্পী লুতফুন নাহনি লতা, উৎসবের সমন্বয়কারী মো. আবদুল হামিদ, অনুষ্ঠান সহযোগী স্বাধীন মজুমদার ও এলি বড়ুয়া এবং ঢাকা ও কলকাতা কো-অর্ডিনেটর যথাক্রমে পিয়াল হোসেন ও শর্মিষ্ঠা ঘোষ, জুরি সদস্য জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত বাংলাদেশের প্রখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা মোরশেদুল ইসলাম।-চ্যানেল আই অনলাইন

Advertisement