Homeসব খবরজেলার খবরআগাম শিম চাষে কৃষকের মুখে হাসি

আগাম শিম চাষে কৃষকের মুখে হাসি

আবহাওয়া ও জমি চাষের উপযোগী হওয়ায় শিমের বাম্পার ফলন হয়েছে। বাজারে দাম ভালো পেলে লাভবান হতে পারবেন বলে মনে করছেন স্থানীয় কৃষকরা। চুয়াডাঙ্গায় আগাম শিম চাষে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। চলতি মৌসুমে লাভের আশায় আগাম জাতের শিম চাষ করেছেন কৃষকরা।

কৃষক খাইরুল ইসলাম বলেন, আবহাওয়ায় ও বাজার দরও বেশ ভালো। তার দেখাদেখি অন্যান্য কৃষকরা আগ্রহী হয়ে শিমের চাষ করেছেন। প্রথমে অল্প-অল্প জমিতে শিমের আবাদ করতে করতে কৃষকরা এখন ব্যাপক হারে শিম আবাদ করেছেন। প্রতিবছর শিম বিক্রি করে লাখ-লাখ টাকা আয় করছেন। কমপক্ষে দেড় লাখ থেকে ২ লাখ টাকার শিম বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা করছেন তিনি। তিনি গত বছরের মত এবছর দেড় বিঘা জমিতে অটো জাতের শিম চাষ করেছেন।

স্থানীয় কৃষকরা জানান, বর্তমানে শিমের আবাদে নানা উপকরণের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় উৎপাদন ব্যয় কিছুটা বেশি। বীজ লাগানোর পর থেকে এক বিঘা জমিতে শিম আবাদ করতে বীজ, সার, বাঁশ, তার, শ্রমিক, সেচ খরচ হয় ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা। শিমের গাছ মাচায় উঠে গেলে ফুল এবং ফল ধরার সময় পোকা দমন এবং পচন রোধে প্রায় প্রতিদিন ওষুধ স্প্রে করতে হয়। ৫০ থেকে ৫৫ দিনে গাছে শিম ধরা শুরু করে। এখানকার কৃষকদের উৎপাদিত শিম বাজারজাত করতে অন্য কোন স্থানে যেতে হয়না। পাইকারি ক্রেতারা এসে তাদের কাছ থেকে শিম কিনে নিয়ে যায় বলে তারা জানান।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর চুয়াডাঙ্গার প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা সুফি রফিকুজ্জামান বলেন, গত বছর ৮৫০ হেক্টর জমিতে গ্রীস্মকালিন শিমের আবাদ হয়েছিল আর এ বছর ৯৫০ হেক্টর জমিতে শিমের আবাদ হয়েছে। অসময়ে শিমের দামটা বেশি পাওয়া যায়, এই জন্য কৃষকরা আগ্রহী এবং লাভটা ভাল পায়। ইতোমধ্যে শিমের উত্তোলন শুরু হয়ে গেছে এবং বাজারে বিক্রি হচ্ছে।

Advertisement