Homeসব খবরজেলার খবরবারি বেগুন-১২ চাষে স্বাবলম্বী শাওন

বারি বেগুন-১২ চাষে স্বাবলম্বী শাওন

মাচিং পদ্ধতিতে শিক্ষিত যুবক শাওন শেখ পলি উচ্চ ফলনশীল বারি বেগুন-১২ চাষ করে ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন। তাকে দেখে অনেক সবজি চাষিরা অনুপ্রেরণা পাচ্ছেন। এ পদ্ধতিতে চাষে খরচ কম ও ফলন ভালো পাওয়া যায়। ফলে বেকার যুবক ও চাষিদের মধ্যে ভালো সাড়া পাচ্ছে।

বাগেরহাট সদর উপজেলার রাখালগাছি ইউনিয়নের দরি-রসুলপুর গ্রামের বাসিন্দা শাওন শেখ। তিনি তার বাবার মরে যাওয়া পানের জমিতে সবজি চাষ শুরু করেন। কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শে ক্লাইমেট স্মার্ট প্রযুক্তির মাধ্যমে মাত্র ১০ কাটা জমিতে পলি মাচিং পদ্ধতিতে উচ্চ ফলনশীল বারি বেগুন-১২ চাষ করার জন্য জমি প্রস্তুত করেন। এই পলি মার্চিং পদ্ধতিতে বেগুনের চাষ করলে ক্ষেতে আগাছা জন্মে না, তাছাড়া সার কীটনাশক ও সেচ তুলনামূলকভাবে অনেক কম লাগে। ফলে খরচ কম হয়। তিনি খুলনার দৌলতপুর হটিকালচার সেন্টার হতে বেগুনের চারা ক্রয় করে তা রোপণ করেন।

শাওন শেখ বলেন, ক্ষেত থেকে বেগুন তুলতে শুরু করে দিয়েছি। এক একটি বেগুনের ওজন প্রায় এক থেকে দেড় কেজির মত। ১০ কাটা জমি থেকে প্রায় ৮০ মণ বেগুন পেয়েছি। এ পযন্ত তিনি প্রায় ৮০ মণ বেগুন তুলে বাজারে গড়ে ৪০ টাকা দরে বিক্রি করেছেন। সপ্তাহে তিনি ২ বার করে বেগুন কেটেছেন, সেই হিসাবে মাসে ৮ বার কাটা সম্ভব।

উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা দীপ্ত কুমার ঘোষ বলেন, আমরা ক্ষেতে সে’ক্স ফেরো’মন ফাঁদ, ইয়ো’লো ট্রাপ ও আলোক ফাঁদ ব্যবহার করেছি নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনের জন্য। তাছাড়া ও’ষুধ সার ও সেচ কম লাগায় উৎপাদন খরচ অনেকাংশে কমে যাওয়ায় কৃষক লাভবান বেশি হচ্ছেন। এই তিন ফাঁদ ব্যবহার করলে রো’গ বালাই কম হয়।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সাদিয়া সুলতানা ও অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ তন্ময় কুমার দত্ত বলেন, পলি মাচিং পদ্ধতিতে উচ্চফলনশীল বারি বেগুন-১২ চাষ করে কৃষকরা অপেক্ষাকৃত বেশি লাভবান হন। এজন্য আমরা কৃষকদের নানাধরনের প্রশিক্ষন ও সাহায্য সহযোগিতা প্রদান করছি। এই উচ্চফলনশীল বেগুন-১২ চাষ করলে হেক্টর প্রতি গড়ে প্রায় ৫৫-৬০ মন বেগুন উৎপাদন করা সম্ভব হয়। এই বেগুনের চাষ করলে উৎপাদন খরচ অনেকটা কম হয়।

Advertisement