Homeসব খবরজাতীয়২০ দেশ থেকে আসে ২৮ রকম খেজুর

২০ দেশ থেকে আসে ২৮ রকম খেজুর

মোট ২০ দেশ থেকে ২৮ ধরনের খেজুর আসে বাংলাদেশে। আমদানি উৎসের তালিকায় রয়েছে সৌদি আরব, ইরান, তিউনিসিয়া, আলজেরিয়া, ওমান, জর্ডান, মিসর, ফ্রান্স এবং ভারতও। একেক দেশের খেজুরের দাম একেক রকম। স্বাদেও রয়েছে ভিন্নতা। তবে বাংলাদেশে সবচেয়ে জনপ্রিয় খেজুর হচ্ছে ইরাকের ‘জাহেদি খেজুর’। রমজানকে ঘিরে খেজুর আমদানি অনেক বেড়েছে। দেশে আমদানি করা খেজুরের ৬০ শতাংশই আসে ইরাক থেকে। দ্বিতীয় স্থানে আছে আরব আমিরাত।

বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুটস ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন সূত্রে জানা গেছে, সাধারণভাবে খেজুরের চাহিদা থাকে মাসে ৫ থেকে ৬ হাজার টন। কিন্তু রমজান মাসে এর চাহিদা বেড়ে দাঁড়ায় প্রায় ৫০ হাজার টন। মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা খেজুর চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর হয়ে প্রবেশ করে দেশের বাজারে। অন্য কিছু খেজুর আসে বিমানে। সর্বশেষ আড়াই মাসে এসেছে আরও ১২ হাজার টন। পাইপলাইনে আছে আরও ১২ হাজার টন। চলতি অর্থবছরে প্রথম ছয় মাসে প্রায় ১২ হাজার টন খেজুর আমদানি হয়েছে।

খেজুর আমদানিকারক আবদুর রহমান বলেন, ‘‘বাংলাদেশে আসা খেজুরের ৬০ শতাংশই আসছে ইরাক থেকে। সেখানকার ‘জাহেদি’ খেজুর এখানে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়। বাংলাদেশে এ খেজুরের চাহিদা বেশি।’’ তিনি জানান, মান ও প্যাকিংয়ের ওপর নির্ভর করে দামও। পিপিই ব্যাগে খেজুর আসে। আসে ১০ কেজির কার্টনেও। পিপিই ব্যাগের তুলনায় কার্টনের দাম কেজিতে ৪০-৫০ টাকা বেশি থাকে।

বাংলাদেশে বেশি বিক্রি হয় আমিরাত গোল্ড। এর দাম তুলনামূলক বেশি। নাগাল, রেজিস, দাব্বাস ও লুলু খেজুরও আসে আমিরাত থেকে। ব্যবসায়ীরা জানান, প্রতি কেজি নাগাল ১৫০ থেকে ২০০ টাকায় পাইকারি বাজারে বিক্রি হয়। রেজিস খেজুর ১৬০ থেকে ১৭০ টাকায় এবং দাব্বাস ও লুলু খেজুর (বরই খেজুর) ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়। সৌদি আরব থেকে আজওয়া, মাশরুক, আম্বার, মাবরুম, কালমি এবং ইরান ও জর্ডান থেকে মরিয়ম খেজুর আসে বাংলাদেশে। মিসর থেকে আসে বড় আকারের খেজুর মেডজুল। বাংলাদেশে পাঁচ কেজির আজওয়া খেজুরের বক্স বিক্রি হয় ১২০০ থেকে ২০০০ টাকায়। বাংলাদেশে তিউনিসিয়ার খেজুর আসে গাছের ছড়াসহ। পাঁচ কেজির একটি বক্স বিক্রি হচ্ছে ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকায়। তবে জাহেদি খেজুর প্রতি কেজি ১৫০ থেকে ১৭০ টাকায় বিক্রি হয়।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, দুবাইয়ের লুলু খেজুর ছোট ও গোল হয়। বাংলাদেশে যা বরই খেজুর নামে পরিচিত। মদিনার মাশরুক খেজুর খয়েরি রঙের এবং লম্বাটে। মরিয়ম খেজুর খয়েরি ও কালোর সংমিশ্রণে হয়ে থাকে। এটিও কিছুটা লম্বাটে। মরিয়ম ও সাফাওয়ি বা কালমি খেজুর অনেকটা একই ধরনের। কালমি খেজুর কালো ও গাঢ় খয়েরি রঙের হয়ে থাকে।

Advertisement