Homeসব খবরজেলার খবরসুইডেন ও ইতালিতে যাচ্ছে বারি-১১ জাতের কাঁচা আম!

সুইডেন ও ইতালিতে যাচ্ছে বারি-১১ জাতের কাঁচা আম!

মাহমুদ হাসান সীতাকুণ্ডের পৌর সদরের দক্ষিণ ইদিলপুর এলাকায় বাসিন্দা। তিনি নিজ বাগানে ব্যাপক পরিমাণে কাঁচা আমের চাষ শুরু করেছেন। তিনি ফেসবুকে পেজ এর মাধ্যমে এই কাঁচা আমের ব্যবসা করে থাকেন। সেই পেজের মাধ্যমে এক রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান তার খোজ পায়। তিনি সেই রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানে কাছে কাঁচা আম বিক্রি করে লাভবান হচ্ছেন। রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানটি ইউরোপের দেশ সুইডেন ও ইতালিতে সেই আম রপ্তানি করে থাকে।

তিনি আম চাষে অনেক সাফল্য অর্জন করেছেন। তার বাগানের আম ছিঁড়ে ছিঁড়ে উঠানে জমা করা হচ্ছে। পরবর্তীতে সেই আম গুলো কার্টনে ভর্তি করা হয়। পরে কার্টন গুলো জানবাহনে তুলে রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এইভাবে তিনি আমের ব্যবসা করে লাভবান হচ্ছেন। তাকে দেখে অনেকই আম ব্যবসায়ে ঝুঁকে পড়ছেন। বর্তমানে তিনি একজন সফল আম ব্যবসায়ী।

মাহমুদ হাসান বলেন, আমি প্রায় ১২ একর পাহাড়ি জমিতে আমের বাগান করেছি। সেখান থেকে এ বছর ১০ হাজার কেজি আম পাবো বলে আসা করছি। রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানটি প্রথমবার নমুনা হিসেবে আমার কাছ থেকে আম নিয়ে যায়। প্রথম চালান সফল হওয়ায় তারা আবার আম কিনার আগ্রহ প্রকাশ করেন। রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের কাছে বাছাই করে ৮৪ কেজি কাঁচা আম পাঠিয়েছি। প্রতিষ্ঠানটি আবার সেখান থেকে ৭৫ কেজি আম রপ্তানি করবে। প্রতিষ্ঠানটির কাছে প্রতি কেজি আম ১৫০ টাকা দরে বিক্রি করেছি। এর মধ্যে সুইডেনে পাঠানো হবে ২৫ কেজি, ইতালিতে পাঠানো হবে ৫০ কেজি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. হাবিবুল্লাহ বলেন, সাধারণত স্থানীয় ও বারি-১১ জাতের আমগুলোর প্রতিটি ১২০-১৬০ গ্রাম পর্যন্ত হয়ে থাকে। দেশে কাঁচা আমের রপ্তানি এবারেই প্রথম হয়েছে। প্রথম রপ্তানি সফল হলে উত্তরাঞ্চলের আম বাজারে ওঠার আগেই সীতাকুণ্ডের আরও কয়েক টন আম বিদেশে পাঠানো সম্ভব। এছাড়া আম রপ্তানি করতে হলে প্রত্যয়নপত্র প্রয়োজন পরে। ফলে হাসানের দুই দেশে রপ্তানির জন্য পৃথকভাবে দুইটি প্রত্তয়নপত্র দিয়েছিলেন।

রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান বিএইচ ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল ইসলাম কল্লোল বলেন, আমরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মাহমুদ হাসানের বাগানের আমের বিষয়ে খোঁজ পায়। পরে তার কাছ থেকে আম সংগ্রহ করি। সেই আম গুলো প্যাকেটজাত করে রপ্তানি করে অনেক লাভবান হতে পেরেছি। ফলে রপ্তানির মাধ্যমে অনেক বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব। ইউরোপের বাজারে বাংলাদেশে কাঁচা আমের ভালো চাহিদা রয়েছে।

Advertisement