Homeসব খবরবিনোদনভিডিওতে কান্না বুবলির, দিলেন শাকিব-অপুকে নিয়ে প্রশ্নের উত্তর

ভিডিওতে কান্না বুবলির, দিলেন শাকিব-অপুকে নিয়ে প্রশ্নের উত্তর

রোববার (৪ ডিসেম্বর) নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেইজে ৪১ মিনিটের এক ভিডিও আপলোড করেছেন। যাতে তিনি তাকে ঘিরে তৈরি হওয়া বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন। একসময় তিনি কান্নায় ভেঙেও পড়েন।

বুবলি দাবি করেন শাকিব-অপুর সম্পর্কের ব্যাপারে তিনি আগে থেকে কিছুই জানতেন না। এমনকি শাকিব খান তার কাছে দাবি করেছিলেন তার কারো সঙ্গে কোনো প্রকার সম্পর্ক নেই। ‘আমি ২০১৬ থেকে কাজ করছি। শাকিব খান, যিনি আমার সন্তানের বাবা, আমার স্বামী, তার সঙ্গে আমি কাজ শুরু করি বা সুযোগ পাই। উনি আমাকে মেন্টর হিসেবে গাইড করতেন। ওনার মাধ্যমেই আমার ফিল্মে আসা। ওই সময়ে আমি কেন, পুরো বাংলাদেশের কেউ কি জানতেন ওনার আগের কোনও সম্পর্ক নিয়ে? এটা কিন্তু আমরা কেউই জানতাম না।’

২০১৭ সালে সন্তান জয়কে নিয়ে লাইভে আসার আগে অপু বিশ্বাস তার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছিলেন বলে দাবি বুবলির। তিনি বলেন, ‘২০১৭-তে যখন বিষয়গুলো (অপু বিশ্বাসের সন্তান নিয়ে প্রকাশ্যে আসা) সামনে আসলো, তখন শাকিব খান নিজেও অবাক হয়েছিলেন। ওনার সঙ্গে যিনি সম্পর্কে ছিলেন, অপু বিশ্বাস, উনি অনেক সিনিয়র আমার থেকে। অনেক বছর ধরে কাজ করেছেন। তাকে অবশ্যই আমি কাজের জায়গা থেকে সম্মান করি। তার সঙ্গে কখনই আমার সামনাসামনি দেখা হয়নি। ২০১৭ সালে তিনি লাইভে আসার আগে হঠাত আমাকে ফোন করেছিলেন এবং অনেক বাজে ব্যবহার করেছিলেন। আমি বুঝতে পারিনি কেন! ওই ব্যবহারের জন্য আমি প্রস্তুত ছিলাম না। ওই বাজে ব্যবহারের কথা তিনি নিজেও পরবর্তীতে স্বীকার করেছিলেন।’

অপু বিশ্বাস লাইভে আসার পর বুবলি একটি স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন। সেটি দেওয়ার কারণ হিসেবে বুবলি জানান, তাকে নানাভাবে দোষারপ করার কারণে কষ্ট থেকে দিয়েছিলেন।

শাকিব খানকে অপু বিশ্বাসের সঙ্গে সম্পর্কের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে তিনি বুবলির কাছে দাবি করেছিলেন এক বছর ধরে তাদের মধ্যে কোনো প্রকার সম্পর্ক নেই। এ নিয়ে বুবলি বলেন, “আমি শাকিব খানের কাছে জানতে চেয়েছিলাম, পরে তিনি অনেক ইমোশনালি আমাকে বলেন যে, ‘অনেক দিন ধরেই কথাগুলো তোমাকে বলতে চাচ্ছিলাম। আমার কাছে মনে হয়েছে যে, তুমি তো এটাতে জড়িত নও। অপু বিশ্বাসের সঙ্গে এক বছর ধরে আমার যোগাযোগ নেই।’ এটা অপুদি নিজেও লাইভ প্রোগ্রামে বলেছিলেন। আপনারা অনেকেই জানেন, শাকিব খানের কথা অনুযায়ী অপু বিশ্বাসকে তিনবার অ্যাবর্শন করতে হয়েছিলো। চতুর্থবার বাধ্য হয়েই তিনি সন্তান নিয়েছিলেন। এইসব ঘটনায় তো আমি নেই। তখন সিনেমাতেই আমার অস্তিত্ব নেই। কেন আমাকে দোষারোপ করা হলো যে, আমার কারণে কারও সংসার ভেঙেছে? আমার কারণে কারও সংসার, সম্পর্ক ভাঙেনি। আমি স্পষ্ট করে দর্শকের উদ্দেশে বলতে চাই।”

‘তাদের (শাকিব-বুবলি) যদি ভুল বোঝাবুঝি হয়, কোনও সমস্যা তৈরি হয়, তারা যদি সেই সম্পর্ক থেকে বের হয়ে যেতে চায়, এটার জন্য কি নতুন মানুষটি দায়ী? শাকিব খান নিজেই আমাকে বলেছেন, তিনি এই সম্পর্কে (অপু বিশ্বাসের সঙ্গে) সুখী নন। তিনি তার জায়গা থেকে আমাকে অনেক কিছুই বলেছেন। যেটা আমি তার সম্মানার্থে আগেও বলিনি, আজও বলবো না। এটুকু বলি, আমি তো অনেক পরে এসেছি, তাদের সমস্যাগুলো তো অনেক আগে থেকেই,’- শাকিব-অপুর ডিভোর্স সম্পর্কে বলেন বুবলি।

শাকিবের প্রথম সন্তান জয়কে বুবলি অনেক ভালোবাসেন বলে ভিডিওতে দাবি করেন। একই সঙ্গে এও দাবি করেন নিজের বেবি বাম্পের ছবি জয়ের জন্মদিনে প্রকাশ করছেন এতকিছু ভেবে করেননি। ‘আমার বেবি বাম্পের ছবি যে ওর জন্মদিনে ছাড়া, বিষয়টা এভাবে ভেবে করিনি আমি। যতদূর জানি, জয় এবার ছয় বছরে পড়েছে। তো এর আগে অনেকগুলো বছর গেছে, আমি তো কোনও জন্মদিনে এমনটা করিনি। সবসময় ওর জন্য ভালোবাসা, দোয়া দিয়ে এসেছি। আমিও তো একটা মানুষ, আমারও তো কষ্ট থাকতে পারে। আমি তো শুধু বেবি বাম্পের ছবি দিয়েছি। কাউকে দোষারোপ করেও তো কিছু বলিনি। শুধু নিজের আবেগের জায়গা থেকে একটা বিষয় শেয়ার করেছি।’

বুবলি-শাকিবের সন্তান শেহজাদের জন্মের সময় আমেরিকায় শাকিব তাকে মাত্র ১৫ হাজার ডলার দিয়েছিলেন। এর বাইরে কোনো খরচ দেননি। তিনি নিজের পকেট থেকে ৩০ হাজার ডলার খরচ করেছিলেন বলে দাবি করেন।

‘আমি চেয়েছিলাম ওর বিষয়টা একসঙ্গে সুন্দরভাবে সামনে আনতে। কিন্তু কোনওভাবে হচ্ছিলো না। আমি তো প্রায় তিন বছর অপেক্ষা করেছি। ওর বিষয়টা সামনে আনার পর থেকে আমি কারও বিষয়ে কোনও অভিযোগ করিনি। এবং আজও করছি না,’- শেহজাদকে সবার সামনে আনা প্রসঙ্গে বুবলি।

ছেলে শেহজাদের উদ্দেশে কাঁদতে কাঁদতে বুবলী বললেন, ‘বাবা শেহজাদ, মা হয়ত সারাজীবন তোমার পাশে থাকবো না। কিন্তু অন্যান্য মায়ের মতো আমিও তোমার জন্য অনেক কষ্ট করেছি বা করছি। তোমাকে পৃথিবীতে আনা, বড় করা। আমি সবসময় তোমার পাশে ছিলাম, আছি, থাকবো। তুমি মানুষের মতো মানুষ হবা। একটি কথা মনে রেখো, তোমার মা-বাবা তোমাকে খুব ভালোবাসে। আমি হয়ত আমার জায়গা থেকে তোমার জন্য সেরাটা দিতে পারি না। কিন্তু আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি বাবা।’

Advertisement