Homeসব খবরজেলার খবরবাঙ্গি চাষে লাভবান দাউদকান্দির কৃষকরা

বাঙ্গি চাষে লাভবান দাউদকান্দির কৃষকরা

সহজ চাষ পদ্ধতি ও খরচ কম পাশাপাশি বিক্রি করে লাভবান হওয়ায় যায় বলে দিন দিন এর চাষ বাড়ছে। বাণিজ্যিকভাবে বাঙ্গি চাষে লাভবান দাউদকান্দির কৃষকরা। এই উপজেলায় কম-বেশি সবাই বাঙ্গি চাষ করে থাকেন।

কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার ইলিয়টগঞ্জ ইউনিয়নের টামটা গ্রামের প্রায় সবাই বাঙ্গি চাষের সাথে জড়িত। প্রায় অনেক বছর আগে সুদূর চীন থেকে এর বীজ নিয়ে আসা হয়েছিল। খেতে সুস্বাদু হওয়ায় সারাদেশে এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। মার্চ-মে বেলে-দোঁআশ মাটিতে বাঙ্গি বেশ ভালো ফলে। খুব অল্প সময়ের মৌসুমী ফল এটি। ডিসেম্বরের শুরুতেই এ চারা রোপণ শুরু হয়। চলে ডিসেম্বরের শেষ পর্যন্ত। উৎপাদিত ফসল ভালো দামে বিক্রি করে কৃষকরা লাভবান হতে পারেন। তাই দিন দিন এর চাষ বেশি জনপ্রিয় হচ্ছে। টানা তিন মাস ধরে কৃষকরা এর পরিচর্যার মাধ্যমে চাষ করে থাকেন।

চাষি মনির মিয়া বলেন, আমি এবছর ৫ বিঘা জমিতে বাঙ্গির চাষ করেছি। চাষে সব মিলে ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। ইতোমধ্যে জমি থেকে তুলে ৯০ হাজার টাকার বাঙ্গি বিক্রি করেছি। জমিতে আরো যা আছে ২০ হাজার টাকার বিক্রি করতে পারবো। জমি থেকে বাঙ্গি তুলে সকাল ৮ টার মধ্যে বাজারে নিয়ে বিক্রি করি। ফজরের নামাজ পড়ে বেরিয়ে পড়ি।

একই গ্রামের অশীতিপর রহিম, আলী আযম, আজগর মিয়া বলেন, আমরা সবাই ভোরবেলা থেকে জমি থেকে বাঙ্গি তোলা শুরু করি। তারপর সকাল ৯টার মধ্যে বাজারে নিয়ে যাই। সেখানে পাইকার ও খুচরা দুইভাবেই বিক্রি করি। আমরা এর চাষ করে লাভ করতে পারছি।

কৃষি সম্প্রারণ অধিদফতর কুমিল্লার উপপরিচালক মিজানুর রহমান বলেন, বাঙ্গি খুবই সুস্বাদু একটি ফল। কৃষি বিভাগ কৃষকদের সব ধরনের পরামর্শ ও সহযোগিতা দিয়ে আসছে। দাউদকান্দি উপজেলায় প্রায় ৫০০ একর জমিতে বাঙ্গির চাষ হয়েছে।

Advertisement