Homeসব খবরজেলার খবরতরমুজ চাষে খুলনার চাষিদের লাভের আশা

তরমুজ চাষে খুলনার চাষিদের লাভের আশা

আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে ও বাজার দাম ভাল পেলে এবার কৃষকরা লাভবান হতে পারবেন। খুলনার দাকোপ উপজেলায় চাষিরা ব্যাপক পরিমানে তরমুজ চাষ করেছে। এ বছর তরমুজের বাম্পার ফলনের আশা করছেন চাষিরা। গত কয়েক বছর লোকসান হলেও এ বছর চাষিরা লাভের আশা করছেন।

উপজেলার বেশীরভাগ মাঠে কৃষকরা তরমুজ চাষ করছে। মাঠের পর মাঠ তরমুজের সবুজ ক্ষেত। সেই ক্ষেতে ধরেছে সবুজ সবুজ তরমুজ। কেউ চারা গাছের পরিচর্যা করছেন, কেউ ক্ষেতে সেচ দিচ্ছেন। তরমুজ চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। এ বছর চাষিরা বাম্পার ফলনের আশা করছেন। উপজেলায় ড্রাগন, পাকিজা, সুইট ড্রাগন ও বিগপাকিজা জাতের তরমুজ চাষ করা হয়েছে।

উপজেলার বাজুয়া গ্রামের তরমুজ চাষি রাধারানী মন্ডল বলেন, আমি ২ বিঘা জমিতে তরমুজ চাষ করেছি। আশা করি লাভবান হবো। তবে বাজারে যার তরমুজ যত আগে উঠবে, তার তত বেশি লাভ। তাই আগে-ভাগেই তরমুজ চাষ করেছি। এ বছর বীজ ও সারের দাম একটু বেশি। এজন্য খরচও বেশি হচ্ছে। আবহাওয়া অনুকূলে ও বাজার ভালো থাকলে লাখ টাকা আয় ছাড়িয়ে যাবে। সব মিলিয়ে বিঘাপ্রতি ১৫-২০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে।

খুলনার দাকোপ উপজেলায় ৯টি ইউনিয়নসহ পৌরসভায় চাষ হচ্ছে তরমুজ। আগামী ১ মাসের মধ্যে শুরু হবে ফল বিক্রি। ন্যায্যমূল্য পেলে কৃষকেরা বেশ লাভবান হবেন। গত বছর দাম না পাওয়ার কারণে অধিকাংশ চাষি লোকসানের মুখে পড়েছিলেন। ফলে এবছর তরমুজ চাষ অনেক কম হয়েছে। উপজেলায় মোট আবাদি জমি ২০ হাজার ৮৮৩ হেক্টর। দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনৈতিক ফসল হিসেবে তরমুজ চাষ ধারাবাহিকভাবে বেড়েছে। গত বছর উপজেলায় ৭ হাজার ৬০৫ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ হয়েছিল। যার ফলে এবছর তরমুজ চাষ কম হয়েছে। চলতি মৌসুমে ৬ হাজার ৩২০ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ হয়েছে। কিন্তু উপযুক্ত দাম না পাওয়ায় অধিকাংশ চাষি পুঁজি ফিরে পাননি।

উপজেলার অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা মেহেদী হাসান খান বলেন, খুলনার দাকোপ উপজেলায় এবছর ৬,৩২০ হেক্টর জমিতে তরমুজের চাষ করা হয়েছে। আমরা কৃষকদের মাঠ পর্যায়ে সকল ধরনের সাহায্য সহযোগিতা করে যাচ্ছি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে চাষিরা তরমুজ বিক্রি করে লাভবান হবেন আশা করছি। তরমুজ চাষিদের বিভিন্ন মেয়াদে প্রশিক্ষণসহ ক্ষেতের সব ধরনের সমস্যার সমাধান দেওয়ার চেষ্টা করে চলেছি।

Advertisement