Homeসব খবরজেলার খবরকাউন চাষে ঝুঁকছেন চরাঞ্চলের চাষিরা!

কাউন চাষে ঝুঁকছেন চরাঞ্চলের চাষিরা!

বিলুপ্ত প্রায় এই ফসলটি চাষে আবারো গাইবান্ধার কৃষকরা আগ্রহী হচ্ছেন। কৃষি ইনিস্টিটিউটের উদ্ভাবিত বারি কাউন-২ জাতের ফসল ফলাচ্ছেন চাষিরা। কৃষকরা বাম্পার ফলনের পাশাপাশি ভালো বাজারদর পেয়ে লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। কাউন চাষে ঝুঁকছেন গাইবান্ধার চাষিরা। আগে এই ফসল বেশ জনপ্রিয় ছিল।

জেলার সাঘাটায় যমুনা নদীর বুকে জেগে ওঠা বালু চরে কাউন চাষ করা হচ্ছে। বিলুপ্তির পথে এই ফসলটি আবারো নতুন ভাবে কৃষকরা চাষ করছেন। এই ফসল চাষে গাইবান্ধা কৃষি প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউট তত্তাবধানে মাঠ পর্যায়ে এর চাষ বৃদ্ধিতে কাজ করা হচ্ছে। বর্তমানে সাঘাটা উপজেলায় যমুনা নদী দ্বারা বেষ্টিত হলদিয়া, কানাইপাড়া, গাড়ামারা, দীঘলকান্দী, চিনিরপটল, কুমারপাড়া, কালুরপাড়া ও পাতিলবাড়িসহ বিভিন্ন চরের কৃষকরা কাউন চাষ শুরু করেছে। ধীরে ধীরে হারিয়ে গেলেও এখন আবার এর চাষ শুরু হয়েছে। একসময় কাউনের চালের ভাত, পায়েস ও পান্তা বেশ জনপ্রিয় ছিল।

গাইবান্ধা কৃষি প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউট ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্য মতে, চলতি মৌসুমে চরাঞ্চলের প্রায় ২ হাজার বিঘা জমিতে এই ফসলের চাষ করা হয়েছে।

চিনিরপটল চরের কৃষক আমিনুল ইসলাম বলেন, আমরা আগে চরের প্রায় ১৫-২০ বিঘা জমিতে কাউনের চাষ করতাম। এর চাষে বিঘা প্রতি ২ থেকে আড়াই হাজার টাকা খরচ হতো। আর প্রতি বিঘায় ৪-৫ মণ কাউন পাওয়া যেত। তখন ফলন ও বাজার দর কম থাকায় আমাদের লোকসান হতো। তাই এর চাষ ছেড়ে দিয়েছিলাম।

মইনুল ইসলাম নামের একজন বলেন, আমরা আগের লোকসান ভূলে আবারো কাউন চাষ করছি। বর্তমানে বারি কাউন-২ জাতেটি চাষ করছি। চাষে বিঘাপ্রতি ১০-১২ মণ ফলন পাওয়া যায়। আগের তুলনকায় এখন ফলন প্রায় ৩ গুণ বেশি পাচ্ছি। আমরা এবছর লাভবান হতে পারলে আগামীতে আরো বেশি জমিতে এর চাষ করবো। বর্তমান বাজারে ১৬০০-১৭০০ টাকা মণ দরে বিক্রি হয়।

জেলা কৃষি প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউটের সরেজমিন বিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আব্দুল্যাহ আল মাহমুদের বলেন, বিগত ৫ বছর যাবত আমাদের উদ্ভাবিত বারি কাউন-২ চাষ করা হচ্ছে। চাষে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার হচ্ছে। আর ভালো বাজারদর পেয়ে লাভবান হতে পারছেন। কৃষকরা আগের তুলনায় বেশি ফলন পাচ্ছেন।

Advertisement