Homeসব খবরজাতীয়৬ মে থেকে গণপরিবহন চলবে জেলার ভেতর, দূরপাল্লা বন্ধ

৬ মে থেকে গণপরিবহন চলবে জেলার ভেতর, দূরপাল্লা বন্ধ

করোনা পরিস্থিতির মধ্যে চলমান বিধিনিষেধ আবারও বাড়াল সরকার। এই বিধিনিষেধ আগামী ১৬ মে পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। আজ সোমবার মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বৈঠক শেষে এ কথা জানান। তিনি বলেন, বর্তমানে বিধিনিষেধ যেভাবে আছে সেগুলো বলবৎ থাকবে। তবে শহরের ভেতরে বাস বা গণপরিবহন চলাচল করবে। কিন্তু দূরপাল্লার বাস আগের মতোই বন্ধ থাকবে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, জেলার মধ্যে গণপরিবহন চলবে (৬ মে থেকে)। কিন্তু এক জেলা থেকে আরেক জেলায় গণপরিবহন বন্ধ থাকবে। এ ছাড়া ট্রেন ও যাত্রীবাহী নৌযান বন্ধ থাকবে। আর যেসব মার্কেটে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানা হবে না প্রয়োজনে সেই মার্কেট বন্ধ করে দেওয়া হবে।

এর আগে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বৈঠকে এসে সাংবাদিকদের একই কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, ‘আন্তজেলা পরিবহন বন্ধ থাকবে। শহরের মধ্যে গাড়ি খুলে দেয়া হবে। নৌ পরিবহন বন্ধ থাকবে। সীমান্ত বন্ধ থাকবে পরবর্তী নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’

গণপরিবহন চালুর পরিকল্পনা নিয়ে সোমবার রাজধানীর মহাখালীর ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড হাসপাতালে একই কথা জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলমও। তিনি বলেন, ‘রাজধানীর মধ্যে গণপরিবহন চলতে পারে। কিন্তু জেলা থেকে জেলায় গণপরিবহন চলার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। স্বাস্থ্যবিশেষজ্ঞদের সুপারিশে দেশে লকডাউন চলছে। এপ্রিল মাসে করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু বেশি থাকলেও এখন কিছুটা কমে আসছে। করোনা নিয়ন্ত্রণে আরও কিছুদিন গণপরিবহন চলাচল বন্ধ রাখতে হবে।’

এদিকে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরও বলেছেন একই কথা। সোমবার (৩ মে) ময়মনসিংহ সড়ক জোন, বিআরটিএ ও বিআরটিসির কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের বলেন, আগামী ৬ মে থেকে ঈদ সামনে রেখে জনস্বার্থ বিবেচনায় সরকার শর্তসাপেক্ষে গণপরিবহন চালুর ব্যাপারে সক্রিয় চিন্তা-ভাবনা করছে।

কাদের বলেন, জেলার গাড়িগুলো জেলার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে। কোনোভাবেই জেলার সীমানা অতিক্রম করতে পারবে না। সিটির ক্ষেত্রেও সিটি পরিবহন সিটির বাইরে যেতে পারবে না। তিনি বলেন, ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া কোনো গাড়ি ঢাকা জেলার সীমারেখার বাইরে যেতে পারবে না। পরিবহনগুলোকে অবশ্যই অর্ধেক আসন খালি রেখে নতুন সমন্বয়কৃত ভাড়ায় চলতে হবে। অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা যাবে না।

ওবায়দুল কাদের বলেন, পরিবহন শ্রমিক ও যাত্রীদের মাস্ক-হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার বাধ্যতামূলক করতে হবে। প্রতি ট্রিপে গাড়ি জীবানুমুক্ত করাও বাধ্যতামূলক হতে হবে।

Advertisement